নীলফামারী পৌরসভার নির্বাচনি তফসিল, ভোট ২৮ নভেম্বর

মেয়াদোত্তীর্ণের পাঁচ বছর পর নীলফামারী পৌরসভার নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ২০১৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এই পৌরসভার মেয়াদ শেষ হলেও সীমানা সংক্রান্ত জটিলতার মামলায় আটকে ছিল নির্বাচন। হাইকোর্টের রায়ের পর বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) অষ্টম ধাপে ঘোষিত ১০টি পৌরসভার নির্বাচনি তফসিলের মধ্যে নীলফামারী পৌরসভার নাম রয়েছে। সদর উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আফতাব-উজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৮ নভেম্বর। ২ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন, যাচাই বাছাই ৪ নভেম্বর এবং প্রত্যাহারের শেষ দিন ১১ নভেম্বর। 

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ১২ জানুয়ারি নীলফামারী পৌরসভায় সর্বশেষ নির্বাচন হয়। নির্বাচিত পরিষদ শপথ গ্রহণ করে ওই বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি। সে অনুযায়ী ২০১৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এই পরিষদের মেয়াদ শেষ হয়। ২০১৫ সালে ৯টি ওয়ার্ডসহ এই পৌরসভাকে পার্শ্ববর্তী ইটাখোলা, কুন্দপুকুর, খোকসাবাড়ী ও টুপামারী ইউনিয়নের কিছু এলাকা সম্প্রসারণ করা হয়।

এরপর ইটাখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রশীদ মঞ্জু, কুন্দপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী চৌধুরী এবং টুপামারী ইউপি সদস্য মো. সামসুদ্দোহা আপত্তি জানিয়ে উচ্চ আদালতে পৃথক তিনটি রিট পিটিশন দাখিল করেন।

কুন্দপুকুর এবং টুপামারী ইউনিয়নের পিটিশন খারিজ হলে ২০১৯ সালে কুন্দপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান আপিল করেন উচ্চ আদালতে। এরপর চলতি বছরের  ফেব্রুয়ারি মাসে কুন্দপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী চৌধুরী এবং ইটাখোলা ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রশিদ  মামলা প্রত্যাহার করায় নির্বাচনি জটিলতা দূর হয়।

এ ব্যাপারে ইটাখোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজুর রশিদ  বলেন, ‘পৌরসভার সীমানা বৃদ্ধি করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় গেজেট  পাস করে। আমার ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী কুন্দপুকুর ও খোকশাবাড়ি ও টুপামারী ইউনিয়নের একটি বৃহৎ অংশ চলে যায় পৌরসভায়। যার প্রেক্ষিতে আমি ২০১৫ সালের জানুয়ারি  মাসে উচ্চ আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। পরে এলাকায় আমি জরিপ চালিয়ে দেখেছি, ভোটররা পৌরসভার সঙ্গে সংযুক্ত হতে আগ্রহী।  পরে চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি উচ্চ আদালত থেকে মামলাটি প্রত্যাহার করে নিয়েছি।’

সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আফতাব-উজ্জামান তফসিল ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,‘ সীমানা সংক্রান্ত জটিলতার মামলার কারণে এতদিন পৌরসভার নির্বাচন আটকে ছিল। বাদী মামলা প্রত্যাহার করায় ওই জটিলতার অবসান হয়েছে।’

তিনি জানান, একই কারণে মেয়াদোত্তীর্ণ ইটাখোলা, কুন্দপুকুর, খোকসাবাড়ী ইউপিতে নির্বাচন স্থগিত আছে। তবে টুপামারী ইউনিয়নের মামলা আগে নিষ্পত্তি হওয়ায় গত বছরের ২৯ অক্টোবরে সেখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।