দেশের দুর্যোগে প্রধানমন্ত্রী ঘুমান না: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. এনামুর রহমান বলেছেন, ‘দেশের দুর্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘুমান না, যতক্ষণ না দেশের মানুষ শান্তিতে ঘুমায়। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) প্রতিটি মুহূর্তে দেশের মানুষের জন্য কাজ করে চলেছেন। চলমান বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের বিষয়ে আমার দফতরের সংশ্লিষ্ট সবার কাছে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন এবং যখন যা প্রয়োজন তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন।’

শুক্রবার (২২ অক্টোবর) সকালে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তিস্তার ভাঙন ও আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন।

রাজারহাটে তিস্তার ভাঙনে বসতভিটাসহ আবাদি জমি হারিয়েছে কয়েকশ’ পরিবার। এরই মাঝে গত দুই দিন পানিবন্দি জীবন যাপনে নাকাল হয়েছে চরাঞ্চলের বাসিন্দারা। শুক্রবার সকালে উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের গতিয়াশাম এলাকায় ভুক্তভোগীদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা দেন প্রতিমন্ত্রী ড. এনামুর রহমান।

ত্রাণ সহায়তা প্রদানকালে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন- কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. মোহসীন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাফর আলী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা, রাজারহাট উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল সোহরাওর্দী বাপ্পী, কুড়িগ্রাম পৌর মেয়র কাজিউল ইসলামসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তিস্তা পাড়ের মানুষ ত্রাণ চায় না। তারা প্রত্যেকে কঠোর পরিশ্রমী। তিস্তা পাড়ের উর্বর মাটিতে এ সমস্ত মানুষ ধান, গম, আলু, বাদাম ও পেঁয়াজ চাষাবাদের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। এখানকার মানুষ তিস্তার আগ্রাসী ভাঙন থেকে বাঁচতে চায়। তিস্তা নদী শাসনে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন জরুরি। যতক্ষণ তা বাস্তবায়ন হয়নি ততক্ষণ পর্যন্ত নদী ভাঙা মানুষের ঘরবাড়ি রক্ষায় কার্যকরী ব্যবস্থা চাই।’

সংসদ সদস্যের এমন দাবির প্রেক্ষিতে ভাঙন কবলিত তিস্তা পাড়ের বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করে প্রতিমন্ত্রী ড. এনামুর রহমান বলেন, ‘খুশির খবর হচ্ছে, জাইকা কুড়িগ্রামের নদী ভাঙনের শিকার মানুষকে নিয়ে খুব দ্রুত কাজ শুরু করবে। তিস্তা নিয়ে ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন হলে তিস্তাপাড়ের মানুষের দুঃখ আর থাকবে না।’