নীলফামারীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ক্ষতি ১৫ কোটি টাকা

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, চলতি বন্যায় তিস্তা ব্যারাজের ফ্লাড ফিউজসহ (বাইপাস) কমান্ড এলাকার দশটি স্থানে ৯৮০ মিটার বাঁধ ধসে গেছে। এতে ক্ষতি হয়েছে ১৫ কোটি টাকা।

উজানের পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতে গত বুধবার (২০ অক্টোবর) সকালে ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পানির চাপে কেটে যায় ব্যারাজের ফ্লাডবাইপাস। এতে করে ফ্লাড বাইপাসের ৩০০ মিটারসহ ব্যারাজের উজান ও ভাটির বিভিন্ন স্থানের বাঁধ বিধ্বস্ত হয় ৯৮০ মিটার।

এর মধ্যে ব্যারাজের উজানে কালিগঞ্জ গ্রোয়েন বাঁধের ১০০ মিটার, ছোটখাতা টি-গ্রোয়েন বাঁধের ১০০ মিটার, তিস্তা বাজার স্পার বাঁধের ৫০ মিটার, ভাটিতে ভেন্ডাবাড়ী স্পার বাঁধের ৫০ মিটার, ভাবনচুন স্পার বাঁধের ৫০ মিটার, তিস্তা ডানতীর বাঁধ ৮০ মিটার, ডাউয়াবাড়ী তিস্তার ডানতীর বাঁধ ১০০ মিটার, শৌলমারী বাঁধের ৫০ মিটার, বালাপাড়া কৈমারী বাঁধ ১০০ মিটার রয়েছে। সবমিলিয়ে আর্থিক ক্ষতি ১৫ কোটি টাকা।

এবারের বন্যায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৫ কোটিসহ মোট ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি

উত্তরাঞ্চল রংপুরের প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ জানান, এবারের বন্যায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৫ কোটিসহ সর্বমোট ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। গত বুধবারের আকস্মিক ওই বন্যা অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙেছে।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এ কে এম সামছুল আলম, নকশা ও গবেষণা বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. এনায়েত উল্লাহ, ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদৌলা প্রিন্স প্রমুখ।

এদিকে রবিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে নীলফামারীর ডিমলা ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ফজলুর রশিদ। পরিদর্শনের পর ডালিয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

মহাপরিচালক বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বন্যার ক্ষতি অনেকটাই পুষিয়ে নিয়েছেন। ঢাকা থেকে সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে ও দিক নির্দেশনা দিয়েছি। ক্ষতির পরিমাণ বের করে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ শিগগিরই মেরামত করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তিস্তার জন্য আট হাজার ২১০ কোটি টাকার মহাপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ওই টাকার মধ্যে সরকারি একটা অংশ আছে। বাকিটা দাতাসংস্থাদের কাছ থেকে পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

ফজলুর রশিদ বলেন, ‘ইতোমধ্যে এ অঞ্চলের ছোট নদীগুলো খনন করে পানির ধারণক্ষমতার পাশাপাশি ড্রেনেজ ক্ষমতাও বাড়ানো হয়েছে।’