‘তেলের দাম বৃদ্ধিতে প্রধানমন্ত্রী সম্মত হতেন বলে বিশ্বাস করি না’

পরিবহন ধর্মঘট আমরা আহ্বান করিনি। এটা সাধারণ মালিকরা করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি ও সংসদে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা।

তিনি বলেছেন, ‘কেরোসিন ও ডিজেলের দাম একসঙ্গে লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানোর বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী জানেন কি-না জানি না। তিনি দেশে নেই, হঠাৎ দাম বৃদ্ধিতে প্রধানমন্ত্রী সম্মত হতেন বলে আমরা বিশ্বাস করি না। আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করে তেলের দাম একতরফাভাবে বাড়ানো ঠিক হয়নি। একটা শালীনতা তো থাকে, সেটাও বিপিসি (বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন) করেনি।’

শনিবার (৬ নভেম্বর) বিকালে রংপুর নগরীর মুন্সিপাড়া এলাকায় মওলানা কেরামত আলী (রা.) মাজার জিয়ারতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

রাঙ্গা বলেন, ‘আমরা ধর্মঘট করছি না, আহ্বানও করিনি। এটা সাধারণ মালিকরা করেছেন। কারণ বাংলাদেশ পেট্রোয়িলাম করপোরেশন একতরফাভাবে এক রাতেই ডিজেল-কেরোসিনের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। সাধারণ মালিকরা বলেছে, দাম বাড়ার পরে প্রতি কিলোমিটারে ৫২ পয়সা অতিরিক্ত খরচ হবে। যমুনা সেতুর টোল বাড়ানোয় প্রায় এক হাজার টাকা খরচ বাড়বে। এ ছাড়া সড়কে তো চাঁদা আদায় হচ্ছে। মালিক শ্রমিক ও বিভিন্ন সংস্থার লোকজন আছেন, তারাও চাঁদা তোলেন।’

তিনি বলেন, ‘সাধারণ মালিকরা বলেছেন, আগের ভাড়ায় গাড়ি চালানো কোনোভাবে সম্ভব নয়। তারপরও আমরা চেষ্টা করেছি, প্রধানমন্ত্রী আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেছিলাম। কিন্তু আমরা যদি বেশি চাপ সৃষ্টি করি তাহলে আমাদের নেতৃত্বই থাকবে না।’

জাতীয় পার্টির এ নেতা আরও বলেন, ‘ডিজেলের দাম বৃদ্ধির ফলে এর প্রভাব পড়বে সর্বত্র। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ সব পণ্যের দাম বেড়ে যাবে। কৃষকরা ডিজেল দিয়ে জমিতে সেচ দেয়, তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কোনোভাবেই এ সিদ্ধান্ত ঠিক হয়নি।’

যমুনা সেতুর পারাপারে ২০০ টাকা টোল বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করে রাঙ্গা বলেন, ‘যমুনা সেতু নির্মাণের পর এত দিনে নির্মাণ ব্যয়ের তিন গুণ টাকা আয় হয়েছে। সেখানে কোনও কারণ ছাড়াই ২০০ টাকা টোল বেশি আদায় করার সিদ্ধান্ত অমানবিক।’

এ সময় তার সঙ্গে জাতীয় পার্টির জেলা সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, জাপা নেতা নাজিমুজ্জামানসহ অনেকেই ছিলেন।