দাম কমে এক কেজি পেঁয়াজ ২৩ টাকা  

পেঁয়াজের আমদানি বাড়ায় দাম কমা অব্যাহত রয়েছে। একদিনের ব্যবধানে হিলি স্থলবন্দরে পাইকারিতে (ট্রাকসেল) পেঁয়াজের দাম আরও এক দফা কমে কেজি প্রতি দাম ২৩ টাকা নেমেছে। একদিন আগেও বন্দরে ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ প্রকারভেদে ২৬ টাকা বিক্রি হয়েছে। এছাড়া নগর জাতের পেঁয়াজের ৩২ টাকা থেকে কমে কেজি প্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকায়। পেঁয়াজের দাম কমে আসায় খুশি বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকার ও সাধারণ ক্রেতারা।  

স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকার রফিকুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা হিলি স্থলবন্দর থেকে পেঁয়াজ কিনি। পরে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন মোকামগুলোতে সরবরাহ করি। কিছুদিন আগে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি কমায় দাম বেড়ে যায়। তবে গত সপ্তাহ থেকেই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি বাড়ায় দামও কমেছে। যে পেঁয়াজ ৪০ টাকায় উঠেছিল তা এখন কমে ২৩ টাকায় নেমেছে। 

বন্দরের ব্যবসায়ী মোজাম হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ভারতের মোকামগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজ লোডিং হওয়ায় হিলি দিয়ে আমদানি আগের তুলনায় বেড়েছে। একইভাবে দেশের সবগুলো বন্দর দিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। এ কারণে বর্তমানে পেঁয়াজের দাম নিন্মমুখী। এছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মোকামগুলোতে থাকা পুরোনো দেশীয় পেঁয়াজ বাজারে আসায় পেঁয়াজের দাম আরও কমেছে। এছাড়াও দেশীয় নতুন জাতের পাতা পেঁয়াজও উঠতে শুরু করেছে। এতে বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বাড়ায় পেঁয়াজের দাম কমে এসেছে। 

বন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, হিলি দিয়ে গত সপ্তাহ থেকেই পেঁয়াজের বাড়তি আমদানি অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার বন্দর দিয়ে ২৭ ট্রাকে ৭৮১টন পেঁয়াজ এসেছে। পেঁয়াজ কাঁচামাল হওয়ায় এটি দ্রুত খালাসের জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ সবধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে বলেও জানান তিনি।