গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থীসহ কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় অন্তত ১০টি দোকান ভাঙচুর করা হয়। মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) রাতে মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের বটতলা ও মহিমাগঞ্জ বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে বটতলায় এলাকায় একটি নির্বাচনি অফিস করাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষ এই সংঘর্ষে জড়ায় বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে সাত-আট জনকে উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যায় মহিমাগঞ্জের বটতলায় নির্বাচনি অফিস বানানোকে কেন্দ্র করে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজওয়ানুর রহমান মুন্সির সমর্থক ও বিদ্রোহী প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলামসহ তার কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় চা স্টল ও টাইলসের দোকানসহ ১০টি দোকান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে নৌকার সমর্থক গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক হামিদুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনি প্রচারণা চালানোর সময় বটতলা এলাকায় আমাদের ওপর হামলা চালায় আনোয়ারুল ইসলামসহ তার সমর্থকরা। এতে আমিসহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অন্তত ১০-১২ নেতাকর্মী আহত হন। আহতদের মধ্যে ফরিউজ্জামান, হেলাল ও বাবুসহ পাঁচ জনকে হাসপাতালে এবং অন্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ’
গোবিন্দগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, খবর পাওয়ার পরেই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মহিমাগঞ্জ বাজার এলাকায় পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন তিনি।