গরম কাপড় কিনতে ভিড় বাড়ছে নীলফামারীর ফুটপাতে

সীমান্তবর্তী উত্তরের জেলা নীলফামারীতে শীত পড়তে শুরু করেছে। ঘর কুয়াশার পাশাপাশি সকালে হালকা বাতাস বইছে। এতে শীত বাড়ছে। তাই গরম কাপড় কিনতে দোকান ও ফুটপাতে ভিড় করছেন ক্রেতারা।

সরেজমিন জেলার বিভিন্ন বাজারে দেখা যায়, ফুটপাতে শীত বস্ত্রের বেচাকেনা জমে উঠেছে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত গরম কাপড় কিনতে ভিড় করছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। বিশেষ করে নীলফামারী শহরের হাইস্কুল মাঠে গরম কাপড়ের দোকোনে ছোট-বড় নানা বয়সী মানুষের ভিড় চোখে পড়ছে।

এদিকে, জেলা শহরের পৌর মার্কেট, মাধার মোড়, উকিলের মোড়, কালিতলা, ডালপট্টি মহল্লা, বড় বাজারের ফুটপাতে ভ্যানে ও হাতে ধরে শীত বস্ত্র বিক্রি করছেন ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা। 

গরম কাপড়ের দোকোনে ছোট-বড় নানা বয়সী মানুষের ভিড় চোখে পড়ছে

বড় বাজারের ফুটপাতের ফেরিওয়ালা আব্দুল হাই জানান, দোকানদাররা ক্রেতাদের চাহিদা মতো সব বয়সী মানুষের জন্য জ্যাকেট, মাফলার, ট্রাউজার, শর্ট-সোয়েটার, ফুলহাতা সোয়েটার, হাত মোজা, কোট ও টুপিসহ বিভিন্ন ধরনের শীত বস্ত্র দোকানে এনেছে।

হাইস্কুলের মাঠ, জজ কোর্টের আশেপাশে ও প্রধান রাস্তার দুই ধারে গরম কাপড় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি বছর শীত মৌসুমে বিক্রি বেড়ে যায়। কয়েকদিন ধরে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় সাধ্যের মধ্যে কাপড় কিনতে ফুটপাতে ভিড় করছেন ক্রেতারা।

ওই মাঠের দোকানদার আব্দুল মজিদ বলেন, উলের সোয়েটার প্রকারভেদে দাম পড়েছে ১৬০ থেকে ২৭০ টাকা। ছোটদের জ্যাকেট ২০০ টাকা ও বড়দের ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, ট্রাউজার ২৫০ টাকা, ফুলহাতা (সুতি) গেঞ্জি ও বাচ্চাদের জামাসেট ১২০-১৪০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

বিভিন্ন ধরনের শীত বস্ত্র দোকানে এনেছে

একই শহরের নিউবাবু পাড়া মহল্লার আশেদা বেগম বলেন, অনেক ঘুরে আমার এক ছেলে দুই মেয়ের জন্য সোয়েটারসহ কানঢাকা টুপি কিনেছি। শীত বেশি পড়ায় দোকানিরা দামও বেশি চাচ্ছে। অনেক দর দামের পর তিনটি সোয়েটার ও বাচ্চাদের টুপি কিনেছি ৩৫০ টাকায়। স্বামীর জন্য একটি সোয়েটার কিনেছি ১৬০ টাকায়। এক মাস আগে এগুলো ৮০-১০০ টাকায় পাওয়া যেতো। 

ফুটপাতের কাপড় ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক জানান, গত সাত দিন ধরে বেচাকেনা ভালোই হচ্ছে। ছোটদের জন্য বেশি কাপড় কিনছে ক্রেতারা। এছাড়া উলের ট্রাউজার, সোয়েটার, মানকি টুপি, মাফলার ও গরম কাপড় বিক্রি হচ্ছে।

জেলা শহরের বড় বাজারের গার্মেন্টস দোকানদার আকরাম হোসেন জানান, গত ১০ দিন থেকে শীতের প্রভাব পড়েছে। বর্তমানে কাটা কাপড়ের চাহিদা অনেকটা কমে গেছে। গ্রামের মানুষ এখন ফুটপাতের উলের সোয়েটার, ট্রাউজার, টুপি ও গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় করছে।

ওই বাজারের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হামিদুল ইসলাম বলেন, আগের চেয়ে এখন নীলফামারীতে শীত ভালোই পড়ছে। সকালের দিকে কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাস পথচারীদের নাকাল করে দেয়। তাই গরম কাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে।