নীলফামারীতে গ্রেফতার ৫ ‘জঙ্গি’ রিমান্ডে

নীলফামারী সদর উপজেলা থেকে জঙ্গি সন্দেহে পাঁচ জনকে আটক ও সোনারায় ইউনিয়নের পুটিহারি মাঝাপাড়া গ্রামের একটি বাড়ি থেকে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আটকদের ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রবিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকালে আদালতে তোলা হলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসামিদের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।

এর আগে, রবিবার সকালে সন্ত্রাস বিরোধ আইনে মামলাটি করেন র‌্যাব-১৩ রংপুরের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল কাদের। মামলায় মোট ছয় জনকে আসামি করা হয়েছে।

শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে নিষিদ্ধ সংগঠন জেএমবির রংপুর অঞ্চলের সামরিক শাখার প্রধান ওহেদুল ইসলামসহ (২৬) পাঁচ জনকে আটক করা র‍্যাব-১৩। বাকিরা হলেন- জাহেদুল ইসলাম (২৮), ওয়াহেদ আলী (৩০), আব্দুল্লাহ আল মামুন সুজা (২৬) ও নুরুল আমিন (২৮)। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আটকদের জঙ্গি বলে দাবি করছেন।

তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার সকাল ১০টার দিকে জেলা সদরের ওই গ্রামের শরিফুল ইসলাম শরীফের (৩৪) বাড়িতে অভিযান চালায় র‌্যাব-১৩। ওই বাড়ি থেকে একটি শক্তিশালী বোমা, বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ রাসায়নিক দ্রব্য, একটি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন ও পাঁচ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে। পরে র‌্যাবের বোমা নিস্ক্রিয়কারী দল ফাঁকা স্থানে বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটায়। তবে শরীফ র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান। মামলায় আটক পাঁচ জনসহ পলাতক শরিফুলকে আসামি করা হয়েছে।

র‌্যাব-১৩ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মাহমুদ বশির আহমেদ জানান, জঙ্গি বিরোধী অভিযানে আটক পাঁচ জেএমবি সদস্যকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা জেএমবির সামরিক শাখার সক্রিয় সদস্য। তারা বোমা তৈরিতে সক্ষম ছিল এবং তৈরিও করেছে। প্রধান আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে এবং আরও কারা জড়িত রয়েছেন তাদেরও চিহ্নিতের কাজ চলছে।

নীলফামারী সদর থানার ওসি আব্দুর রউপ বলেন, ‘সন্ত্রাস বিরোধী আইনে ছয় জনের নাম উল্লেখ করে রবিবার সকালে থানায় মামলাটি দায়ের করে র‌্যাব। এতে অজ্ঞাত আরও ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। আটক হওয়া পাঁচ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে বিকালে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এতে পাঁচ দিনের রিমান্ড চাইলে বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’