পীরগাছায় মা-মেয়েকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, দুদিন পর মামলা রেকর্ড

রংপুরের পীরগাছায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মা ও মেয়েকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। আহত অবস্থায় তাদের পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তিও করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে ১৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়েরের চেষ্টা করা হলেও পুলিশ প্রাথমিকভাবে মামলা নিতে গড়িমসি করে। তবে নির্যাতনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন পীরগাছা থানার ওসি (তদন্ত) শুকুর আলী।

ঘটনাটি ঘটেছে ১২ জানুয়ারি পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়নের অনন্দিধনি রাম গ্রামে। শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হলে উপজেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। ঘটনার দুদিন পর শুক্রবার রাতে মামলা রেকর্ড করে ৪ আসামিকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। তবে প্রধান আসামি জিয়াকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি বলে অভিযোগ নির্যাতিতদের।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নির্যাতনের শিকার মা ও মেয়ের সঙ্গে গোফফার মিয়ার ছেলে জিয়ার জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। বুধবার জিয়া ও তার ভাড়াটে লোকজন ভিকটিমের জমির গাছ কাটতে থাকে। এ ঘটনায় মা ও মেয়ে তাদের বাধা দিলে জিয়া ও তার লোকজন দুজনকে তাদের বাড়ির কাছে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে লাঠি দিয়ে নির্যাতন করে। এলাকাবাসী ৯৯৯-এ ফোন করলে পীরগাছা থানা থেকে পুলিশ এসে মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তারা দুজন এখনও চিকিৎসাধীন বলে দায়িত্বরত ডাক্তার আসলাম জানান।

বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগীর মায়ের স্বামী ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করতে চাইলেও পুলিশ প্রথমে তা রেকর্ড করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভাইরাল হলে শুরু হয় তোলপাড়। এরপর শুক্রবার রাতে পুলিশ লিখিত অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করে।

এ ব্যাপারে পীরগাছা থানার ডিউটি অফিসার এএস আই শহিদুল ইসলাম জানান, থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাতেই ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে গ্রেফতারকৃতদের নাম জানাতে রাজি হননি তিনি।

ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক বলেন, মা-মেয়ে গাছে বেঁধে নির্যাতনের বিষয়টি আমি শুনেছি। ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি করেন তিনি। পুলিশের মামলা নিতে গড়িমসি করায়ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।