রমজানের আগে মুরগি-গরু-খাসির মাংসের দামও লাগামহীন

সয়াবিন তেল ও সবজির সঙ্গে কুড়িগ্রামের বাজারে এবার মুরগি, গরু ও খাসির মাংসের দামও বেড়েছে। রমজানের আগেই এক সপ্তাহ ধরে মাংসের দাম বাড়তির দিকে। সরবরাহ কম থাকার অজুহাতে আকাশচুম্বী এসব পণ্যের বাজার মূল্য। জেলা শহরের বাজারগুলো ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

জেলা শহরের পৌর বাজারে গিয়ে দেখা গেছে,  কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে গরুর মাংস ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম বেড়েছে সব ধরনের মুরগিরও।

কুড়িগ্রাম পৌর বাজারের খাসির মাংস ব্যবসায়ী সুমন জানান, বাজারে ছাগলের মূল্য অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়েছে। জেলার বাইরের ব্যবসায়ীরা হাটগুলো থেকে ছাগল নিয়ে যাওয়ায় সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে মাংসের দামও বেড়েছে।

murgi

এদিকে, দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজিতে। সোনালি (পাকিস্তানি) ২৬০, লেয়ার ২৫০ ও ব্রয়লার প্রতিকেজি ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘আমি এর আগে বাজারে ছাগলের এত দাম আমি পাইনি। জেলার বাইরে ছাগলের চাহিদা বেড়েছে। ছাগল সংকটের কারণে জেলায়ও মাংসের দাম বেড়েছে।’

জেলা সদরের ভোকেশনাল মোড়ের গরুর মাংস ব্যবসায়ী আলম বলেন, ‘গরুর দাম প্রচুর। দেশি গরু মাংসের চাহিদা পূরণ হয় না। সীমান্তে কড়াকড়ি হওয়ায় ভারত থেকেও তেমন গরু আসছে না। সংকটের ফলে গরুর বাজার মূল্য চড়া যাচ্ছে। ফলে মাংসের দামও বেড়েছে।’

মাংসের মূল্য তালিকা

শরিফুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে আমাদের নাভিশ্বাস উঠেছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে রমজানে এটা আরও লাগামহীন হয়ে উঠতে পারে। কর্তৃপক্ষের উচিত এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া।’

তবে মাংস ও মুরগির এমন মূল্য বৃদ্ধির পেছনে ব্যবসায়ীদের দেওয়া যুক্তির সঙ্গে একমত নন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছি। দুই একদিনের মধ্যে ব্যবসায়ীদের নিয়ে বসে বাজার মূল্য নির্ধারণ করা হবে। আশা করছি রমজানের আগেই আমরা একটা কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারবো।’