একদিনে পেঁয়াজ আসার রেকর্ড, কেজি ১৮ টাকা

পবিত্র শবে বরাত ও তিন দিন আমদানি বন্ধ থাকায় বাড়তি চাহিদার কথা মাথায় রেখে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে একদিনে এসেছে দুই হাজার ১৭৬ টন পেঁয়াজ। এতে বন্দরে পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ২-৩ টাকা করে। একদিন আগেও প্রতিকেজি পেঁয়াজ প্রকারভেদে ২০-২৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এখন তা কমে ১৮-২৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। 

হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে ইন্দোর, নাসিক, গুজরাট, নগর জাতের পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ একদিন আগেও ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও, এখন তা কমে ১৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া নাসিক ও গুজরাট নগর জাতের পেঁয়াজ ২৬ টাকা দরে বিক্রি হলেও, এখন তা কমে ২৩-২৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে হিলির খুচরা বাজারেও কমেছে দাম।   

হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আলম হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বাজারে সবকিছুর দাম যখন ঊর্ধ্বমুখী তখন পেঁয়াজের দামে স্বস্তি ফিরেছে। কিছুদিন বাড়তি থাকার পরে আবারও আগের অবস্থায় এসেছে। দুদিন আগেও বাজার থেকে ১৬-২০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনেছি। আজ পেঁয়াজ কিনতে এসে সেই ১৪-১৬ টাকা কেজি দরে কিনেছি। এতে করে আমাদের মতো নিন্ম আয়ের মানুষদের বেশ সুবিধা হয়েছে।  

হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বন্দর দিয়ে প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ এসেছে। বাজারেও পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। এ কারণে প্রতিদিনই দাম কমছে। তবে আমরা যে দামে কিনে বিক্রি করছি, সব পেঁয়াজ বিক্রি না হতেই বাজার কমে যাচ্ছে। এতে আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। বর্তমানে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ১৪-১৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দরের পেয়াজ ব্যবসায়ী স্বপন মুন্সি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, টানা তিন দিন হিলিসহ দেশের সবগুলো বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকবে। এসময় বন্দর দিয়ে অন্যান্য পণ্যের পাশাপাশি কোনও পেঁয়াজ আসবে না। তবে দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে আমদানি বাড়ানো হয়েছে। একদিনেই বন্দর দিয়ে রেকর্ড সংখ্যক পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এতে সরবরাহ বাড়ায় দাম আরও কমেছে। যে হারে আমদানি হচ্ছে তাতে করে সামনে রমজানে পেঁয়াজের দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানান তিনি। 

বন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি আগের চেয়ে বেড়েছে। তবে এখন পর্যন্ত একদিনে ৭৭ ট্রাকে দুই হাজার ১৭৬ টন পেঁয়াজ আমদানির রেকর্ড হয়েছে। এসব পেঁয়াজ যাতে কাস্টমসের সব প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত খালাস করা যায় সেজন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ সবধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে।