‘দুস্থ সাংবাদিক’ হিসেবে অনুদান নিলেন সাবেক এমপির ভাই-ভাতিজা

নীলফামারীতে প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের চেক পেলেন ১৩ দুস্থ সাংবাদিক। এর মধ্যে দুস্থ সাংবাদিক হিসেবে অনুদানের চেক নিলেন নীলফামারী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. সামছুদ্দোহার ছোট ভাই ও ভাতিজা।

মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ওসব চেক বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন। তাদের প্রত্যেকের হাতে করোনাকালীন প্রণোদনার ১০ হাজার করে টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। তবে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি জেলা প্রশাসক।

প্রণোদনা প্রাপ্তরা হলেন দৈনিক ভোরের কাগজের প্রতিনিধি ও নীলফামারী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সামছুদ্দোহার ছোট ভাই মো. শামসুল ইসলাম, তার ছেলে একই পত্রিকার প্রতিনিধি ও মশিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ কামরুল হাসান কল্লোল, স্থানীয় দৈনিক নীল কথার সম্পাদক ও প্রকাশক কাজী মাহবুবুল হক দোদুল, তার মেয়ে ফারহানা মাহবুব, দৈনিক নীলকথার প্রতিনিধি ও চাঁদেরহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নূরে আলম, একই পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার রবিউল ইসলাম, দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিন ও চাঁদনী বাজার পত্রিকার প্রতিনিধি সুভাষ বিশ্বাস, বিজয় টিভির প্রতিনিধি গোলাম রব্বানী, দৈনিক পরিবেশের প্রতিনিধি আহসান হাবিব, দৈনিক আলোর দিগন্তর প্রতিনিধি লোকমান হোসেন প্রমুখ।

এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আজহারুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন নাহার ও নীলফামারী প্রেসক্লাবের সভাপতি তাহমিন হক ববী প্রমুখ।

এদিকে, ওই তালিকায় শিক্ষক, পত্রিকার সম্পাদক ও মালিক, সাংবাদিকতা পেশায় না থেকেও পত্রিকার সম্পাদকের মেয়েসহ একই পত্রিকার চার জন, সম্পদশালী ভোরের কাগজের প্রতিনিধি ও তার প্রভাষক ছেলের নামে অনুদান গ্রহণের বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে।

স্থানীয় একাধিক সাংবাদিক জানান, ‘প্রণোদনার টাকা নেওয়ার কথা দুস্থ সাংবাদিকদের। কিন্তু পত্রিকার মালিক, তার মেয়েসহ চার জন, অন্য পেশায় আছেন অথবা নামধারী সাংবাদিকরা ওই সুবিধা নেওয়ায় অনুদান ব্যথা গেছে। সেই সঙ্গে পেশাদার সাংবাদিকরা সুবিধাবঞ্চিত হলেন।’