কালবৈশাখী ঝড়ে হেলে পড়েছে পাকা ধান, শঙ্কায় কৃষক

দিনাজপুরের হিলিতে হঠাৎ করে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে কয়েকশ বিঘা জমির পাকা ধান মাটিতে হেলে পড়েছে। ধান কাটার ঠিক আগ মুহূর্তে পাকা ধানগুলো হেলে পড়ায় ফলন ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। তবে তেমন সমস্যা না হলেও হেলে পড়া ধান দ্রুত কেটে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কৃষি অফিস।

শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে হিলির বিভিন্ন এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে যায় এই ঝড়। ঝড়ের সঙ্গে হালকা বৃষ্টিপাত হয়। এতে বেশ কিছু জমির পাকা ধান মাটিতে শুয়ে পড়েছে। ফলে ধান কাটার সময় বাড়তি খরচ গুনতে হবে। সেই সঙ্গে উৎপাদন খরচ তোলা নিয়ে সংশয়ে পড়েছেন কৃষকরা।

হিলির ইসমাইলপুরের কৃষক সামসুল ইসলাম বলেন, ঝড়ে আমাদের ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাকা ধান সব শুয়ে পড়েছে। এখন এই ধান কাটবো কীভাবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছি। এর ওপর মাটিতে শুয়ে পড়ায় ধান কাটার মজুরি বেশি গুনতে হবে। গতবার যেখানে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা লেগেছিল এক বিঘা জমির ধান কাটতে, এবার চার হাজার টাকা লাগবে। এত টাকা দিয়ে ধান কেটে আমাদের উৎপাদন খরচ উঠবে না।

অপর কৃষক আরমান হোসেন বলেন, ঝড়ে শত শত বিঘা জমির পাকা ধান মাটিতে শুয়ে পড়েছে। এতে কৃষকদের যে ক্ষতি হয়ে গেলো তাতে করে আমাদের লাভ তো দূরের কথা খরচ উঠবে কিনা সে সংশয় তৈরি হয়েছে। এখন এই ধান কাটবো কীভাবে, ঘরে তুলবো কীভাবে সেই দুশ্চিন্তা মাথায়। আমরা তো আশা নিয়ে ধান আবাদ করেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ এই ঝড়ে সব আশা তছনছ হয়ে গেলো।

হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. মমতাজ সুলতানা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ঝড়ে উপজেলার শতাধিক বিঘা জমির ধান মাটিতে শুয়ে পড়েছে। তবে ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টিপাত বেশি হলে ক্ষতি হতো। ধানগুলো পচে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। যেহেতু বেশি বৃষ্টি হয়নি সে কারণে রক্ষা পেয়েছে। তবে ধান কাটার আগ মুহূর্তে এই বৃষ্টি হওয়ায় তেমন সমস্যা হবে না। যেহেতু ধান হেলে পড়েছে তাই যত দ্রুত সম্ভব কেটে ফেলতে হবে।