গরিবের ৪০ বস্তা চাল বিক্রির অভিযোগে ইউপি সচিব আটক

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামারদহ ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রোকনুজ্জামানকে আটক করেছে পুলিশ। ইউনিয়নে দুস্থ-অসহায় পরিবারের মাঝে চাল বিতরণ না করে ৪০ বস্তা বিক্রির অভিযোগে রবিবার সন্ধ্যায় তাকে আটক করে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ।

আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইজার উদ্দিন। তিনি বলেন, সচিব রোকনুজ্জামানকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ইউএনও ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে আটক করা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফ হোসেন। তিনি বলেন, বিষয়টির তদন্ত চলছে। কি অনিয়ম ঘটেছে তা জানতে চাইলে তিনি সুনির্দিষ্ট তথ্য দেননি। তবে তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি পরবর্তীতে নিশ্চিতের কথা জানান তিনি।

স্থানীয়রা জানান, গত ২৫ এপ্রিল কামারদহ ইউনিয়নের গরিব-অসহায় চার হাজার সুবিধাভোগী পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণের কথা ছিল। কিন্তু ওজনে কম ও সুবিধাভোগী অনেক পরিবারকে না দিয়ে ওই দিন চাল বিতরণ শেষ করা হয়। এ নিয়ে চাল আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে। বিতরণের আগেই চালের বস্তা পিকআপভ্যানে ফাঁসিতলা বাজারের ব্যবসায়ী আল-আমিনের কাছে বিক্রি করা হয় বলেও অভিযোগ সুবিধাভোগীদের।

এ ঘটনার পর চাল ব্যবসায়ী আল-আমিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি চাল ক্রয়ের কথা স্বীকার করে বলেন, ২৪ এপ্রিল রাতে সচিব আমাকে ফোন করে চাল বিক্রির কথা জানালে ২৮ টাকা কেজি দরে চালের দাম ঠিক করি। ২৫ এপিল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পরিষদের একটি রুম থেকে ৪০ বস্তা (৫০ কেজি) চাল পিকআপভ্যানে করে নিয়ে আসি। চালের বস্তা পিকআপভর্তির সময় সচিব রোকনুজ্জামান ও চৌকিদার বাবলু মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে কামারদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তৌকির হাসান রচির মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ না করে কেটে দেন।