একসঙ্গে ২ প্রেমিকাকে বিয়ে, সেই রোহিনীকে ডিভোর্স দিলেন এক স্ত্রী

দুই প্রেমিকাকে একসঙ্গে বিয়ে করেছিলেন পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীদার গ্রামের যামিনী চন্দ্র রায়ের ছেলে রোহিনী চন্দ্র রায়। গত ২০ এপ্রিল একসঙ্গে দুই প্রেমিকাকে বিয়ে করে ঘরে তোলেন তিনি। তবে দুই বউ ও এক স্বামীর সংসার টিকলো মাত্র ২২ দিন। বৃহস্পতিবার (১২ মে) রোহিনীর এক স্ত্রী মমতা রানীর সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়েছে।

সরেজমিন জানা গেছে, কিছু অর্থের বিনিময়ে এই বিচ্ছেদ হয়েছে। এ ছাড়া রোহিনীর পরিবারে অসন্তোষ, দুই বিয়ে নিয়ে এলাকায় জনশ্রুতিসহ নানা কারণে এই বিয়ে টেকেনি বলে স্থানীয়রা জানান। এসব কারণে একসঙ্গে দুজনকে বিয়ে করেও সংসার করতে ব্যর্থ হয়েছেন তারা।

তবে মমতা রানীর ভাই পলাশ চন্দ্র রায় বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে চাই না। সমাজে এমনিতেই আমাদের অনেক কথা শুনতে হয়েছে। বোনের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের পরিবারের পক্ষে এ নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই।’

রোহিনী চন্দ্র রায়ের বাবা যামিনী চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে কোনও চাপ ছিল না। তবে উভয় পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে মমতা রানী স্বেচ্ছায় আমার ছেলেকে তালাক দিয়েছে।’ সমঝোতা কী ছিল- এ বিষয়ে প্রশ্ন করলেও নির্বাক থাকেন তিনি।

rohini1

বলরামপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আবু তৌহিদ জানান, ‘তাদের বিয়ের ভাইরাল হওয়া ছবিগুলো এখন কেবল স্মৃতি। সংসার, সমাজ ও পারিববারিক চাপের কারণে এ বিয়ের বিচ্ছেদ হতে পারে।’

বলরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘বিচ্ছেদের বিষয়টি আমি শুনেছি। উভয় পরিবারের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। মেয়েটি স্বেচ্ছায় ছেলেটিকে তালাক দিয়েছে। তবে অফিসিয়ালি কেউ চিঠিপত্র দেয়নি।’

জেলার বোদা উপজেলার হিন্দু বিয়ের রেজিস্ট্রার পরেশ চন্দ্র বর্মন বলেন, ‘হিন্দু ধর্ম মতে কোনও পুরুষ তার স্ত্রীকে তালাক দিতে পারে না। তবে স্ত্রী স্বেচ্ছায় যেকোনও কারণে স্বামীকে তালাক দিতে পারেন। এটি আইনসিদ্ধ।’