বেড়েছে কাঁচা চা পাতার দাম

পঞ্চগড়ে কেজিতে ছয় টাকা বেড়েছে কাঁচা চা পাতার দাম। নতুন করে প্রতি কেজি কাঁচা চা পাতার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ টাকা। পানিযুক্ত বা ভেজা কাঁচা চা পাতা সরবরাহ করলে শতকরা ১০ ভাগ কর্তন হবে মর্মে সিদ্ধান্ত হয়েছে। কাঁচা চা পাতার মূল্য নির্ধারণ কমিটির সভায় পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম নতুন মূল্য ঘোষণা করেন।  

চা চাষিদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন বুধবার (১৮ মে) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কাঁচা চা পাতার মূল্য নির্ধারণ কমিটির সভা আহ্বান করেন। বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলে সভা।

চা চাষিদের নেতা কামরুজ্জামান শেখ মিলন, আবু সাঈদ ও আমিরুল হক খোকন বলেন, বর্তমানে এক কেজি চা পাতা উৎপাদনে খরচ হয় প্রায় ১৭ টাকা। এতদিন কারখানার মালিকরা চা পাতা কিনছিলেন ১২ টাকায়। ফলে চা চাষিরা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছিলেন না। নতুন দাম নির্ধারণ করায় খুশি হয়েছেন তারা।

বিসমিল্লাহ চা কারখানার মালিক আলমগীর আলম মিয়া ও নর্থবেঙ্গল চা কারখানার ব্যবস্থাপক শাহিনুর ইসলাম বলেন, নিলাম বাজারে চায়ের মূল্য কমে গেছে। চা চাষিরা একটি কুড়ি দুটি পাতার চেয়ে লম্বা চা পাতা সরবরাহ ও পানিযুক্ত ভেজা পাতা সরবরাহ করায় উৎপাদিত চায়ের মান কমেছে। ফলে নিলাম বাজারে ভালো দাম পাচ্ছেন না কারখানা মালিকরা। অতিরিক্ত মূল্য চাপিয়ে দিলে কারখানা মালিকরা লোকসানে পড়বেন।

কাঁচা চা পাতার মূল্য নির্ধারণী সভায় উভয়পক্ষের কথা শুনে জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বাংলাদেশ চা বোর্ডের আঞ্চলিক শাখার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শামিম আল মামুনকে কাঁচা চা পাতা উত্তোলনে চাষিদের খরচের বিষয়টি অবহিত করতে বলেন।

ড. শামিম আল মামুন প্রতি কেজি কাঁচা চা পাতা উত্তোলনে চাষিদের ১৬ টাকা ৭১ পয়সা খরচ হচ্ছে বলে মতামত দেন। পরে জেলা প্রশাসক প্রতি কেজি কাঁচা চা পাতার মূল্য ১৮ টাকা নির্ধারণ করেন।  

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শ্রীমতি জয়শ্রী রানী, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমিরুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুল হক, বাংলাদেশ চা বোর্ডের আঞ্চলিক অফিসের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শামিম আল মামুন, স্মল টি গার্ডেন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আমিরুল হক খোকন, পঞ্চগড়ের চা প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানার মালিক ও চা চাষিরা।