ছাত্রকে পেটানোর অভিযোগে শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত

বীরগঞ্জ উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের বিকে উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রদের পিটিয়ে আহত করার অভিযোগে শিক্ষক চঞ্চল রায়কে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ জুন) বিকালে ম্যানেজিং কমিটি ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সমন্বয়ে বৈঠকের মাধ্যমে তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়। এরআগে, সকালে নির্যাতনের শিকার ছাত্ররা পরীক্ষা বর্জন করে অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়ে বীরগঞ্জ-গড়েয়া সড়ক অবরোধ করেন।

স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার (৬ ‍জুন) পরীক্ষা শেষে চেয়ারে চুইংগাম লাগানোর অপরাধে ক্লাস রুমের দরজা বন্ধ করে শিক্ষক চঞ্চল রায় ২০-২২ জন ছাত্রকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। ঘটনার পর পরেই ছাত্রদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় সংবাদ পেয়ে অভিভাবকেরা বিদ্যালয়ে গেলে শিক্ষক চঞ্চল রায় বিদ্যালয় ছেড়ে পালিয়ে যান। পরে অভিভাবক ও ছাত্ররা বিদ্যালয়ে অবস্থান নিলে পলাশবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ সিদ্দিকী মানিক ও বিদ্যালয়ের সভাপতি ডা. পরেশ চন্দ্র রায়, প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

মঙ্গলবার ওই ঘটনায় শিক্ষক চঞ্চল রায়কে স্কুল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে পরীক্ষা বর্জন করে ছাত্ররা। পরে তারা অভিভাবকদের নিয়ে সড়ক অবরোধ করে। 

খবর পেয়ে বীরগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কন্দর্প নারায়ণ রায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ছাত্র-অভিভাবকদের শান্ত করে স্কুলে নিয়ে আসেন। তিনি বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ছাত্র ও অভিভাবকদের অভিযোগ শুনে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং স্কুলের প্রধান শিক্ষককে নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন। 

এ সময় অভিযুক্ত শিক্ষক চঞ্চল রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিকালেই রেজ্যুলেশনের মাধ্যমে অভিযুক্ত শিক্ষক চঞ্চল রায়কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। একই সঙ্গে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না, তা জানতে চেয়ে শোকজ করা হয়েছে।

জানতে চাইলে বীরগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কন্দর্প নারায়ণ রায় বলেন, প্রাথমিকভাবে ছাত্র নির্যাতনের ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক চঞ্চল রায়কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে শোকজ করা হয়েছে।

শিক্ষক চঞ্চল রায় উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের বাংলা বাজার এলাকার চন্দ্র কান্ত রায়ের ছেলে। একাধিকবার তার মোবাইল ফোনে কল দিয়েও কথা বলা সম্ভব হয়নি।