বিপৎসীমা ছুঁয়েছে তিস্তার পানি, ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি 

ভারী বর্ষণ এবং উজানের ঢলে তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সকাল ৬টার দিকে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার দশমিক ৬৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে সকাল ৯টায় তা বেড়ে বিপৎসীমা ছুঁয়েছে। ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার। 

এদিকে নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় গঙ্গাচড়ার ছয় ইউনিয়ন ও নদী তীরের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩০ গ্রামের ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। কোনও এলাকা দুই থেকে আড়াই ফুট, আবার কোনও এলাকা আরও বেশি পানিতে ডুবেছে। এতে অনেক পরিবার বাড়ি-ঘর ছেড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে।

গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তিস্তার পানি বাড়ায় লক্ষ্মীটারি, কোলকোন্দ, মর্নেয়া নোহালী ও আলম বিদিতর ইউনিয়নের ৩০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা লক্ষ্মীটারি ইউনিয়নের। এ ইউনিয়নের বিনারচর, শংকরদাহসহ বেশ কয়েকটি দুর্গম চরাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

এদিকে তিস্তা নদীর পানি বাড়ার কারণে চরাঞ্চলের শত শত হেক্টর জমির বাদাম নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

লক্ষ্মীটারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল হাদী বলেন, অসময়ে তিস্তা নদীর পানি বাড়ায় ইউনিয়নের অনেক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া বাদামসহ বেশ কিছু ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

গঙ্গাচড়ার ইউএনও এরশাদ উদ্দিন বলেন, পানি বেড়ে যাওয়ায় নদী তীরবর্তী ও দুর্গম চরাঞ্চলের মানুষকে সতর্ক থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিভ্ন্নি এলাকায় সহায়তা পৌঁছাতে কাজ চলছে বলে জানান তিনি।