ধর্ষণের অভিযোগের ৬ দিন পর মামলা নথিভুক্ত করলো পুলিশ

কুড়িগ্রামের উলিপুরে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার ছয় দিন পর মামলা নথিভুক্ত করেছেন ওই থানার ওসি ইমতিয়াজ কবির। শনিবার দিবাগত রাতে মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উলিপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমিন।

এর আগে, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরও দীর্ঘ ছয় দিনে মামলা নথিভুক্ত না করার অভিযোগ ওঠে ওসির বিরুদ্ধে। গত ১৩ জুন রাতে সংঘটিত ‘ধর্ষণের’ ঘটনার পর দিন (১৪ জুন) ভুক্তভোগী গৃহবধূ লিখিত অভিযোগ দেন। এর পরও মামলা নথিভুক্ত করা হচ্ছিল না বলে অভিযোগ করেছিলেন ভুক্তভোগী ও তার স্বামী।

তাদের অভিযোগ, মামলা নিতে ‘টালবাহানা’ করছিলেন ওসি ইমতিয়াজ কবির। তবে ওসি দাবি করেন, তিনি ভুক্তভোগীর কাছ থেকে কোনও লিখিত অভিযোগ পাননি। এ নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলা ট্রিবিউন। এরপরই টনক নড়ে। শনিবার দিবাগত রাতেই মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে আওলাদ হোসেন (৩০) নামে স্থানীয় এক যুবক ওই গৃহবধূর ভাড়া বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণ করে। এ সময় চিৎকারে তার স্বামী ছুটে এলে অভিযুক্ত যুবক স্বামীকে মারপিট করে আহত করে। পরে ঘরে থাকা একটি লোহার পাইপ দিয়ে ওই গৃহবধূকেও পেটাতে থাকে। এ সময় স্বামী-স্ত্রীর চিৎকারে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি এগিয়ে এলে সে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা ওই গৃহবধূ ও তার স্বামীকে উলিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি বলে উল্লেখ করেন ভুক্তভোগী।

মামলা নথিভুক্ত হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ ও তার স্বামী। তারা ঘটনার সঠিক তদন্ত ও ন্যায় বিচার দাবি করেন।

ভুক্তভোগীর স্বামী বলেন, ‘পুলিশ বলছে, শনিবার রাতেই মামলা হইছে। পরে মধ্যরাতে ওসি সাহেব আমার বাড়িতে পুলিশ পাঠায় দিয়ে আমার স্ত্রীকে থানায় নিয়ে যান। রবিবার (১৯ জুন) সকালে তাকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।’

পুলিশ পরির্দশক (তদন্ত) রুহুল আমিন বলেন, ‘শনিবার দিবাগত রাতেই মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’