খানসামায় নারীর মরদেহ উদ্ধার

দিনাজপুরের খানসামায় আম বাগান থেকে সাদেকা বেগম (৩২) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৯ জুলাই) দুপুরে উপজেলার ভেড়ভেড়ী গ্রামের সায়েদ চেয়ারম্যান পাড়ার আম বাগান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহতের পরিবার ও পুলিশ জানিয়েছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে ইতোমধ্যে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে পুলিশ।

নিহত সাদেকা বেগম উপজেলার তেবাড়িয়ার ডাঙ্গাপাড়া এলাকার আব্দুস সামাদের মেয়ে।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা আম বাগানে শাড়ি দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে শনাক্ত করে এবং সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,  সাদেকা বেগম ৯ মাস আগে প্রথম স্বামী জাহাঙ্গীর ইসলামকে তালাক দিয়ে নীলফামারীর সদর উপজেলার দারোয়ানী এলাকায় সলেমান মিস্ত্রির সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তার আগের সংসারে ৩ ছেলে সন্তান রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাদেকা তার স্বামী ও শ্বশুরকে চিকিৎকের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে সে আর বাড়িতে ফেরেনি। শুক্রবার সকালে তার মরদেহ দেখতে পায় লোকজন। তবে স্ত্রীর মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পরও দ্বিতীয় স্বামীর বাড়ির লোকজন আসেনি। এলাকাবাসী এটিকে হত্যাকাণ্ড এবং জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি করেছে।

নিহত সাদেকার ভগ্নিপতি মাহাবুর ইসলাম জানান, প্রথম স্বামীর সঙ্গে ১৫ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল সাদেকার। ওই সংসারে তাদের ৩টি ছেলে সন্তান রয়েছে। সংসারে খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া ও নির্যাতন করায় তাদের তালাক হয়। পরে পরিবারকে না জানিয়ে দারোয়ানীর সলেমান মিস্ত্রির সঙ্গে বিয়ে হয় সাদেকার। নতুন স্বামীর বাড়ি থেকে বাচ্চাদের খোঁজ খবর নিতে গতরাতে জাহাঙ্গীরের বাড়িতে যায় সে। এরপর সকালে জানতে পারি সাদেকাকে কে বা কারা হত্যা করে লাশ আম বাগানে ফেলে রেখেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

এ ব্যাপারে নিহতের দ্বিতীয় স্বামী সলেমান মিস্ত্রির কাছে জানতে ফোন করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

খানসামা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তাওহীদুল ইসলাম বলেন, ‘এটি একটি হত্যাকাণ্ড। নিহতের মরদেহের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলেই সঠিক তথ্য জানা যাবে। এরপর দোষীদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়াও চলছে।’