মোটা অঙ্কের টাকায় নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় পাস, মৌখিক দিতে এসে আটক

পঞ্চগড়ে প্রক্সির মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ স্বপন সেন (২৯) নামে একজনকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষা চলাকালে তাকে আটক করে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। আটক স্বপনের বাড়ি জেলার সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের লাঙলগাঁও গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের কমলা কান্ত সেনের ছেলে।

পুলিশ ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। সেখানে নিয়োগ বোর্ড তার হাতের লেখা পরীক্ষার জন্য বাংলায় লিখতে বলেন। কিন্তু লিখিত পরীক্ষার লেখার সঙ্গে মৌখিক পরীক্ষায় এসে লেখা না মেলায় সন্দেহ হওয়ায় তাকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে স্বপন লিখিত পরীক্ষায় তার প্রক্সি হিসেবে অন্য একজন পরীক্ষায় অংশ নেন বলে স্বীকার করেন। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ওই ব্যক্তি তার পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তদন্তের স্বার্থে তার নাম প্রকাশ করেনি নিয়োগ বোর্ড। পরে তাকে আটক করে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।

জানা গেছে, চলমান প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ লিখিত পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের মৌখিক পরীক্ষায় ইংরেজি ও বাংলায় কয়েক লাইন হাতে লেখার নির্দেশনা দেন নিয়োগ বোর্ড। নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়াসহ যেকোনও অনিয়ম ঠেকাতে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের কাগজপত্র জমা নেওয়া ও মৌখিক পরীক্ষাতেও একইভাবে হাতে লিখতে বলা হয়।

এই মৌখিক পরীক্ষার নিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম জালিয়াতির বিষয়টি নিশ্চিত হন। এমন একই অপরাধের অভিযোগে এর আগে আরও চার জনকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জেলা প্রশাসক বলেন, মৌখিক পরীক্ষা চলাকালে ওই পরীক্ষার্থীকে বাংলায় লিখতে বললে তার লিখিত পরীক্ষার খাতায় লেখার সঙ্গে কোনও মিল পাওয়া যায়নি। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে অন্যের মাধ্যমে পরীক্ষা দেওয়ার কথা স্বীকার করে।

পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিয়া জানান, পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড এক পরীক্ষার্থীকে পঞ্চগড় থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।