পঞ্চগড়ে বিএনপি-ছাত্রলীগ সংঘর্ষে আহত ১৬

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয় পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ১৬ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতদের পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার (৭ আগস্ট) বিকাল ৫টার দিকে বোদা উপজেলা শহরের মাইক্রোবাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

বিএনপি নেতাদের দাবি, জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বের করা মিছিলে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এতে তাদের ১০ নেতাকর্মী আহত হন। 

তবে ছাত্রলীগ নেতারা বলছেন, বিএনপির মিছিল থেকে উসকানিমূলক স্লোগান দিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এ সময় ছাত্রলীগের নেতারা প্রতিরোধ করলে গেলে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে তাদের ছয় নেতাকর্মী আহত হন।

বিএনপির আহতরা হলেন- উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুল্লাহ আসাদ, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুর আলম পুলক, চন্দনবাড়ী ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক শরিয়তুলাহ বিপ্লব, বোদা সদর ইউনিয়নের সদস্য সচিব মিঠু, পৌর যুবদল নেতা রিপন, রাসেল ও বেংহারী ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাজুসহ ১০ জন। এর মধ্যে কয়েকজনকে পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল এবং অন্যদের বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তবে ছাত্রলীগের আহত নেতকর্মীর নাম তাৎক্ষণিক জানাতে পারেননি দলীয় নেতারা।

উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুল্লাহ আসাদ বলেন, ‌‘জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিকালে উপজেলার ধানহাটি মাঠ থেকে মিছিল বের করেন উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। আমাদের মিছিলটি মাইক্রোবাসস্ট্যান্ড এলাকায় গেলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এতে আমাদের ১০ নেতাকর্মী আহত হন।’

বোদা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আনজাম পিয়াল বলেন, ‘বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তি করে স্লোগান দিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। সেইসঙ্গে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় প্রতিরোধ করতে গেলে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মী আহত হন। তাদের বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’

বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে দুই পক্ষকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনও পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’