তীব্র গরমে হিলিতে বাড়ছে ডায়রিয়ার প্রকোপ

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলিতে কয়েকদিন ধরে তীব্র গরমে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। রোগীর চাপে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তরল খাবার খাওয়ার ও বাইরের খোলা খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

জানা গেছে, হিলিতে গত কয়েকদিন ধরেই তীব্র তাপদাহ বিরাজ করছে। সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত সূর্যের প্রখর তাপে তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। মাঝে মাঝে হালকা বৃষ্টি হলেও গরম কমছে না। গরমে অনেকেই ডায়রিয়া ও জ্বরসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এমন অবস্থায় চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে ভিড় করছেন রোগীরা। কেউ কেউ বহির্বিভাগে চিকিৎসক দেখিয়ে বাড়ি ফিরলেও অনেকেই ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। ডায়রিয়াসহ অন্যান্য রোগে বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ৬০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি থাকছেন।

হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেয়েকে নিয়ে আসা আরজু আরা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমার মেয়ে হঠাৎ করে তিন দিন ধরে পাতলা পায়খানা করছিলো। স্যালাইন খাওয়ানো হলেও সুস্থ হচ্ছিলো না। কিছু খেতে পারছিলো না। শরীর দুর্বল হয়ে অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছিলো। পরে হিলি হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি।’

হাসপাতালে ভর্তি রিপন বসাক বলেন, ‘হঠাৎ করে রাত ৩টার দিকে আমার পেট ব্যথা শুরু হয়। রাতেই হাসপাতালে ভর্তি হই। এখন ওষুধ খেয়ে কিছুটা সুস্থ আছি।’

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তারেক আহমেদ বলেন, ‘হঠাৎ করে পেট ব্যথা শুরু হয়। ঘন ঘন বমি হতে থাকে।জ্বর আসে। কিছুতেই কমছিল না। বাধ্য হয়ে গতকাল রাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।’

হাসপাতালে আসা মিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বেশ কিছু দিন ধরেই হিলিতে বৃষ্টিপাত নেই। ফলে তীব্র গরম পড়েছে। গরমে অনেকে ডায়রিয়া আক্রান্ত দিচ্ছে। আমিও ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছি। আমার স্ত্রী ও মা-বাবাও অসুস্থ।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কখনও গরম পড়ছে আবার কখনও ঠান্ডা। বৃষ্টির কিছুক্ষণ পরই গরম বাড়ছে। আবহাওয়ার এমন পরিবর্তনজনিত কারণে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। শ্বাসকষ্ট ও জ্বরের রোগীও বেড়েছে। এক্ষেত্রে আমাদের পরামর্শ হলো, বেশি করে পানি পান করতে হবে। তরল খাবার খেতে হবে। সেই সঙ্গে বাইরের খোলা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। অতিরিক্ত ঘাম যেন না হয় এবং ঠান্ডা যেন না লাগে সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।’