চার সন্তান নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন মৌসুমী, কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ

দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দেওয়া গৃহবধূ মৌসুমী বেগমকে ছাড়পত্র দিয়েছেন চিকিৎসক। বর্তমানে তিনি বিরল উপজেলার ভান্ডারা ইউনিয়নের ভান্ডারা গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে আছেন। নবজাতকরাও সুস্থ। তবে আর্থিক সংকটে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন মৌসুমী ও তার স্বামী শরিফুল ইসলাম। 

গত ৩১ আগস্ট অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিন জন ছেলে ও এক মেয়ের জন্ম দেন মৌসুমী। বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টম্বর) দুপুরে মাসহ তাদের ছাড়পত্র দেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।

মৌসুমীর স্বামী শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘যখন সন্তানগুলো হয়, তখন আনন্দে আত্মহারা ছিলাম। কিন্তু গত ৯ দিন ধরে দুশ্চিন্তায় আছি। আমি কৃষক মানুষ। আমার সামান্য পরিমাণ আয়ে সংসার চলে। কেমন করে চার সন্তান লালন-পালনের খরচ বহন করবো, তা ভেবে টেনশন হচ্ছে।’

মৌসুমী বেগম বলেন, ‘সন্তানদের খরচ নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় পড়েছি। আল্লাহ আমার সন্তানদের সুস্থ রাখুন, সবার কাছে এই দোয়া চাই। আমার সন্তানদের জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করি।’

ভান্ডারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মামুন বলেন, ‘ওই পরিবারের বিষয়ে আমি জানি। তাদের জমিজমা তেমন নেই। শুধু ভিটা আছে। সবাই তাদের সহযোগিতা করলে ভালো হতো।’

উল্লেখ্য, ২০১২ সালে মৌসুমী ও শরিফুলের বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর তাদের একটি সন্তান হয়। জন্মের পর পরই সে মারা যায়। এর আট বছর পর গত ৩১ আগস্ট একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দেন মৌসুমী।