২১ লাখ টাকার মরিচসহ কাভার্ডভ্যান নিয়ে চালক ‘উধাও’

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় ২১ লাখ টাকার শুকনো মরিচ নিয়ে কাভার্ডভ্যানের চালক নিরুদ্দেশ হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ১৯ অক্টোবর নোয়াখালীর চৌমুহনীতে এক আড়তদারের কাছে মরিচ পাঠান ব্যবসায়ী মো. মজনু মিয়া। এক সপ্তাহেও মরিচ নিয়ে কাভার্ডভ্যানটি গন্তব্যে পৌঁছায়নি।

এ ঘটনায় মজনু মিয়া তেঁতুলিয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তেঁতুলিয়ার তিরনইহাট ইউনিয়নের বকশিপাড়া গ্রামের মেসার্স জয় এন্টারপ্রাইজের মালিক মজনু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে মরিচের ব্যবসা করে আসছেন। নোয়াখালী ও ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মরিচ সরবরাহ করেন তিনি। গত ১৯ অক্টোবর নোয়াখালীর চৌমুহনীর মেসার্স অরবিন্দ সাহা, মেসার্স খগপতি সাহা ও মেসার্স হাজী শাহাবুদ্দিনের কাছে ১১৭ ঢোপে প্রায় ছয় টন শুকনো মরিচ পাঠান। 

তেঁতুলিয়ার শালবাহানহাট ইউনিয়নের ট্রাক ব্যবস্থাকারী মো. দুলালের কাছে ট্রাকের খোঁজ করেন মজনু মিয়া। দুলাল তেঁতুলিয়ার বেহারীপাড়া এলাকার শাহাদত হোসেনের মাধ্যমে একটি কাভার্ডভ্যানের ব্যবস্থা করে দেন। ওই দিন বিকালে তেঁতুলিয়ার শালবাহানহাট বাজার থেকে ১১৭ ঢোপ মরিচ নিয়ে কাভার্ডভ্যানটি চৌমুহনীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পঞ্চগড় থেকে চৌমুহনী পৌঁছাতে সাধারণত দুই দিন সময় লাগার কথা। কিন্তু ছয় দিনেও মরিচ চৌমুহনীতে পৌঁছায়নি। এ ঘটনায় দুলাল, শাহাদত হোসেন ও ট্রাক চালক রিয়াদের নামে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন মজনু মিয়া।

মজনু মিয়া বলেন, ‘কাভার্ডভ্যান চালক রিয়াদের চৌমুহনীতে ক্রেতাদের কাছে মরিচ পৌঁছে দেওয়ার কথা। কিন্তু দুই দিনেও তিনি না পৌঁছালে ক্রেতারা আমাকে ফোন করেন। এরপর ২০ অক্টোবর সন্ধ্যায় রিয়াদকে ফোন দিলে তিনি ঢাকার কাঞ্চন ব্রিজে আছেন এবং ২১ অক্টোবর সকালের মধ্যে মরিচ পৌঁছে যাবে বলে জানান। শুক্রবার সকালে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এখন পর্যন্ত তার ফোন বন্ধ রয়েছে। মরিচও ক্রেতার কাছে পৌঁছায়নি। কাভার্ডভ্যানেরও কোনও খোঁজ মিলছে না।’

মজনু মিয়া জানান, কাভার্ডভ্যানে ২১ লাখ টাকার শুকনো মরিচ পাঠানো হয়েছে। মরিচ উদ্ধার না হলে পুঁজি হারিয়ে পথে বসতে হবে। এ ঘটনায় দুলাল ও শাহাদতের কোনও সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, ‘মরিচসহ কাভার্ডভ্যান ও চালক নিরুদ্দেশ হওয়ার বিষয়ে মজনু মিয়া ও দুলাল নামে দুই ব্যক্তি অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।’