তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস

পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। রোদের কারণে দিনে গরম থাকলেও রাতে শীত অনুভূত হচ্ছে। রাতে কাঁথা-কম্বল জড়িয়ে ঘুমাতে হচ্ছে। সকালে কাজে বের হতে কষ্ট হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষের। 

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক মো. রোকনুজ্জামান জানান, সোমবার (১৪ নভেম্বর) সর্বনিম্ন ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এটি শীত মৌসুমে তেঁতুলিয়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। গত বছর এই দিনে ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। গতবারের তুলনায় এবার শীত একটু দেরিতে আসছে। ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমছে।

গত কয়েকদিন ধরে শেষ বিকাল থেকে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। সকালের সোনালী ধানের ক্ষেতে শিশিরের বিন্দু বিন্দু কণা চিক চিক করছে। রাতে কোনও কোনও দিন কুয়াশা বেশি পড়ে। ঠান্ডা সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত থাকে। দিনের বেলা সূর্যের তাপে ঠান্ডা কমে গিয়ে গরম অনুভূত হয়। সন্ধ্যার পর গরম কাপড় পড়ে বের হতে হচ্ছে। আর রাতে কাঁথা-কম্বল ছাড়া থাকা যাচ্ছে না। অবশ্য দিনের বেলা তাপমাত্রা ২৮ থেকে ৩০ ডিগ্রিতে ওঠানামা করছে। এ কারণে দিনে গরম অনুভূত হয়। 

তেঁতুলিয়ার ভ্যানচালক ইসাহাক আলী বলেন, ‘শীত পড়ছে। ভোর থেকে ঠান্ডা লাগছে। শীত উপক্ষা করে ভোর থেকে ভ্যান নিয়ে ছুটতে হচ্ছে। চাল-ডালসহ সব জিনিসের দাম বেড়েছে। সংসার চালাবো না শীতবস্ত্র কিনবো বুছতে পারছি না।’

শীত বাড়ায় দুশ্চিন্তায় খেটে খাওয়া মানুষ

পথচালী আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘হিমালয়ের কোলঘেঁষা দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে আগেভাগেই শীত নামে। এবার ধীরে ধীরে শীত নামছে। দিনে তাপমাত্রা কমে গেলেও বিকাল থেকে সকাল পর্যন্ত বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।’

ভ্যানচালক সইর উদ্দিন বলেন, ‘শীতের কারণে আয়-রোজগার কমে গেছে। সংসার চলে না। এবারের শীত কীভাবে পার করবো জানি না।’

তেঁতুলিয়ার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘গ্রিন তেঁতুলিয়া ক্লিন তেঁতুলিয়া’র পরিচালক কাজী মতিউর রহমান বলেন, ‘শীত মৌসুমের শুরুতেই সরকারি-বেসরকারিভাবে শীতার্তদের জন্য শীতবস্ত্র সরবরাহ করা উচিত। শীত শেষে শীতবস্ত্র বিতরণ শীতার্তদের কোনও কাজে আসে না।’

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক মো. রোকনুজ্জামান বলেন, ‘এবার শীত দেরিতে নামছে। গত বছর এই সময়ে তাপমাত্রা কম ছিল। তবে নভেম্বরের শেষ দিকে শীতের তীব্রতা বাড়বে। তখন তাপমাত্রাও কমে যাবে।’