স্ত্রীকে হত্যার পর জেলা ত্যাগ করে স্বামী, ওঠে সহকর্মীর বাড়িতে

কুড়িগ্রামে সাহেরা বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে ভুক্তভোগীর স্বামীকে দিনাজপুর থেকে গ্রেফতার করেছে কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশ। বুধবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় লাশ উদ্ধারের পর বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) ভোরে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ থানা এলাকা থেকে অভিযুক্ত মোখলেসকে গ্রেফতার করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে নেওয়া হলে স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।

এর আগে, বুধবার সন্ধ্যায় সদরের বেলগাছা ইউনিয়নের পলাশবাড়ী পশ্চিমপাড়া গ্রাম থেকে নিজ ঘরের বিছানায় গলাকাটা অবস্থায় সাহেরা বেগমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই নারী ওই গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের মেয়ে। অভিযুক্ত মোখলেস একই উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের ডোমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সাহেরার বাবার বাড়িতে ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করতেন।

মোখলেসের স্বীকারোক্তির বরাতে পুলিশ জানায়, সে অটোরিকশা বিক্রির টাকা নিয়ে বুধবার দুপুরে সাহেরা বেগমের সঙ্গে ঝগড়া শুরু করে। এ সময় ঘরে উচ্চ শব্দে গান বাজতে থাকায় ঘরের বাইরে তাদের শব্দ পৌঁছায়নি। এক পর্যায়ে স্ত্রীকে জোরে চড় মারেন। এতে তিনি জ্ঞান হারান। এরপর ঘরে থাকা মাংস কাটা দা দিয়ে সাহেরার গলা কেটে তাকে হত্যা করেন মোখলেস। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর লেপ দিয়ে লাশ ঢেকে ঘরের দরজায় বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান।

কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার ও এসআই জাহিদ বলেন, ‘বুধবার দুপুরে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হলেও এর কোনও প্রত্যক্ষদর্শী ছিল না। ফলে আসামি সহজে জেলা ত্যাগ করে। লাশ উদ্ধারের পর পলাতক মোখলেসকে ধরতে তৎপর হয় পুলিশ। তাকে ধরতে আমাদের তিনটি টিম বিভিন্ন দিকে অভিযানে নামে। মোখলেস দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে তার একসময়ের সহকর্মী ও একই নামের নির্মাণ শ্রমিক মোখলেসের বাড়িতে অবস্থান করছে বলে নিশ্চিত হয় পুলিশ। পরে সদর থানা পুলিশের একটি দল বৃহস্পতিবার ভোরে তাকে গ্রেফতার করে কুড়িগ্রামে নিয়ে আসে।’

ওসি আরও বলেন, ‘আসামি হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বিকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’