‘বৈশ্বিক কারণে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, সামনে পরিস্থিতি আর খারাপ হবে না’

বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম খুব বেশি বাড়েনি উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে বেড়েছে। ডলারের বিপরীতে আমাদের টাকার ডি-ভ্যালু হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি, সবকিছু স্বাভাবিক রাখতে। এক কোটি পরিবারকে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য দিচ্ছি। বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আমাদের অবস্থা খারাপ নয়, ভালোই আছি। তবে জিনিসপত্রের দাম নিয়ে সামনে পরিস্থিতি আর খারাপ হবে না।’

রবিবার (০৪ ডিসেম্বর) বিকালে রংপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে দুপুরে ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে নেমে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে যান মন্ত্রী।

নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের পর্যাপ্ত মজুত আছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আসন্ন রমজানের জন্য আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বিশেষ আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকের সঙ্গে এলসি খোলার বিষয়ে কথা হয়েছে। তিনি সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।’

নয়া পল্টনে বিএনপির সমাবেশের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি পল্টন ময়দানে সমাবেশ করবে বলে গোঁ ধরেছে। অপেক্ষা করেন তারা কি করতে পারে দেখা যাক। শুধু মুখে বললে তো হবে না। বৃক্ষ তোমার নাম কি, ফলে পরিচয়। তাদের আন্দোলনের বিষয়ে আমার কোনও কথা নেই।’

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়ার বিপক্ষে আওয়ামী লীগের দুজন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন, বিষয়টি দলের জন্য বিব্রতকর কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বড় দল। দলের মনোনয়ন না পাওয়ায় কারও কষ্ট থাকতে পারে। তবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের এখনও সময় আছে। আপনারা বাইরে থেকে যা দেখছেন তা ঠিক নয়। দলের সবাই আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থীর পক্ষেই থাকবে। সবাই একসঙ্গে কাজ করবে।’

রংপুর সিটি নির্বাচনে সব কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহারের বিষয় নিয়ে অনেক প্রার্থী ও ভোটারের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে, এ নিয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘ইভিএম তো আধুনিক যন্ত্র। এটি প্রয়োগ করা দরকার।’

রংপুর সার্কিট হাউজে মন্ত্রী পৌঁছালে প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ স্বাগত জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন ও পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী প্রমুখ।