মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা ফেসবুক লাইভ করা ব্যক্তিসহ গ্রেফতার ৫

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার ২নং সাতনালা ইউনিয়নের রাণীপুর গ্রামে একটি পানাপুকুরে মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। এই ঘটনা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভের মাধ্যমে। এ ঘটনায় মামলার প্রধান আসামিসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে দিনাজপুর র‌্যাব-১৩। আসামিদের একজন মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা ফেসবুক লাইভ করেছিলেন।

শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) চিরিরন্দর থানায় আসামিদের সোপর্দ করে র‌্যাব-১৩। এর আগে একইদিন বিভিন্ন স্থান থেকে তাদেরকে আটক করে র‍্যাব। এর আগেও বৃহস্পতিবার একজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। গত মঙ্গলবার দুপুরে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন—মামলার প্রধান আসামি উপজেলার ইসবপুর ইউনিয়নের দগরবাড়ির মোতালেব হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান (২৮) এবং নশরতপুর বালাপাড়া গ্রামের মৃত মনসুর আলীর ছেলে সবুজ হোসেন (২৭), মাইজার রহমানের ছেলে জাকির হোসেন (২৭), আব্দুর রহমানের ছেলে আকরাম হোসেন (৩০) ও হাবিবুর রহমানে ছেলে মশিউর রহমান লাল (২৫)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আসামিদের মধ্যে আকরাম হোসেন তার ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি ‘আবার কথা হবে’ থেকে ঘটনার দিন মরদেহ উদ্ধারের লাইভ দিচ্ছিলেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মৃত হাচানুর রহমান রাণীপুর ভগুপাড়ার মৃত এজাদ্দীনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন হরেকমাল বিক্রেতা। গত ২৮ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টায় জরুরি কাজের কথা বলে তিনি বাড়ি থেকে বের হন। পরে তিনি আর বাড়িতে ফেরেন না। পরদিন স্থানীয় একটি পানাপুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। একইদিনে নিহতের মা হাছিনা বানু বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে চিরিরবন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি ছিলেন সামিউল ইসলাম। এই মামলার অন্য আসামির হলেন সামিউলের ভাই ওবাইদুল (৩৫), ভগুপাড়ার রস্তম আলীর ছেলে শাফিয়ার রহমান (২৫) ও বালাপাড়া গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে রুবেল (২৭)।

নিহতের পরিবারের দাবি—আসামিরা তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।

এ বিষয়ে কথা হলে চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রশিদ বলেন, গ্রেফতার আসামিদের র‌্যাব-১৩ এর দল থানায় সোপর্দ করেছে। পরে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়।

ওসি জানান, ওই আসামি মরদেহ উদ্ধারের সময় আমাদের সাথেও ছিল। হয়তো ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্যই তিনি এসব করছিলেন। পুলিশ হেফাজতে রেখে তাদের ৭ দিনের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে আবেদন করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত বিষয় জানা যাবে।