তীব্র গরমে পুড়ছে দেশ, বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায়

কয়েকদিন ধরে তীব্র তাপপ্রবাহে নাভিশ্বাস উঠেছে জনজীবনে। সূর্যের তীব্র প্রখরতায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড। এর মুক্তি দিতে পারে এক পসলা বৃষ্টি। কিন্তু বৈশাখের পাঁচ দিন অতিবাহিত হলেও আকাশে নেই মেঘের দেখা। দেশের দুই-এক জায়গায় বৃষ্টি হলেও তা তীব্র গরমের লাগাম টানতে পারেনি। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়েছেন দিনাজপুরের মানুষ।

বুধবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় দিনাজপুর শহরের রামনগর ঈদগাহ মাঠে যুব সমাজের আয়োজনে ইস্তেসকার নামাজ পড়া হয়। এই নামাজে ইমামতি করেন দিনাজপুরের বিরল উপজেলার শংকরপুর মসজিদের ইমাম হাফেজ আব্দুল্লাহ আল মোয়াক্ষির। তীব্র গরম থেকে পরিত্রাণ পেতে এই নামাজের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

নামাজে অংশগ্রহণ করেন সত্তর বছর বয়সী হাফিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, দিনে গরম, রাতেও গরম। ঘুম ভালো করে হচ্ছে না। শরীর খারাপ করে দিচ্ছে এই আবহাওয়া। তাই আমরা নামাজ আদায় করছি এবং আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেছি।

স্থানীয় মামুনুর রশদী বলেন, প্রচণ্ড গরম আর সেই সঙ্গে রোজা। মুসল্লিদের খুবই কষ্ট হচ্ছে। আল্লাহর কাছে হাত তুলে দাঁড়িয়ে এই মোনাজাত করেছি যাতে রহমতের বৃষ্টি আমাদেরকে দান করেন।

মোহাম্মদ আলী বলেন, গরমে শুধু মানুষেরই নয়। পশুপাখি এবং গাছ-গাছালিরও সমস্যা হচ্ছে। গাছের ফল ঝরে যাচ্ছে। এই অবস্থাতে বৃষ্টির খুবই প্রয়োজন।

ইমাম আব্দুল্লাহ আল মোয়াক্ষির বলেন, নবী ও রাসুল (সা.) অনাবৃষ্টি ও দুর্ভিক্ষের জন্য সাহাবিদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইস্তেসকার নামাজ আদায় করেছিলেন। এর জন্য নামাজের এই আয়োজন। আমরা খোলা মাঠে ইস্তেসকার নামাজ আদায় করেছি। অনেক মানুষ আমাদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেছেন।