বিপদসীমার ওপরে তিস্তার পানি, ফসলি জমিসহ চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

বেড়েই চলেছে তিস্তা নদীর পানি। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকালে তিস্তার পানি রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তিস্তা নদীর তীরবর্তী গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর, কাপাসিয়া, বেলকাসহ কয়েকটি ইউনিয়নে নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলে পানি প্রবেশ করছে।

এ ছাড়া পানি ঢুকছে সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়ন ও ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়াসহ কয়েকটি নিম্নাঞ্চলসহ চরাঞ্চলে।

পানি ঢুকে পড়ায় এসব এলাকার উঠতি আমন ধানসহ বিভিন্ন ফসলের জমি তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার বাড়িঘর ও গবাদি পশুর ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রসহ নিরাপদ জায়গায় ছুটছেন।

এদিকে, বন্যা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন গাইবান্ধা ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখার কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার (এনডিসি) জুয়েল মিয়া। 

তিনি জানান, নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষদের সতর্ক করতে মাইকিং করা হয়েছে। মানুষকে গরু-ছাগলসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে সতর্ক থেকে নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্র বা ফ্ল্যাট শেল্টারে অবস্থান নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। জরুরি যোগাযোগে নৌকার ব্যবস্থা রাখাসহ চালু করা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। বন্যাকালীন মানুষদের জন্য জরুরি চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত রয়েছে।