২৪ ঘণ্টায় স্বাভাবিক হলো কুড়িগ্রামের ট্রেন চলাচল

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙা ইউনিয়নের কাশেমবাজা‌র এলাকায় কুড়িগ্রাম-তিস্তা রেলপ‌থের এক‌টি সেতুর অ‌্যাবাট‌মেন্ট ভে‌ঙে ‌জেলার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ সাময়িক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেতুটি অস্থায়ী সংস্কার করে রেলপথ সচল করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। স্বাভাবিক হয়েছে সারা দেশের সঙ্গে কুড়িগ্রামের ট্রেন চলাচল।

শনিবার (১৪ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় একটি মালবাহী ট্রেন চালানোর মাধ্যমে সেতু দিয়ে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক ঘোষণা করে লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগ। লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলপথ ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) আব্দুস সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পরে শনিবার রাতে রংপুর এক্সপ্রেসের শাটল ট্রেন কাউনিয়া রেলস্টেশন থেকে কুড়িগ্রামে যাতায়াতের মাধ্যমে স্বাভাবিক হয় ট্রেন চলাচল।

কুড়িগ্রাম স্টেশনের স্টেশন মাস্টার শামুসুজ্জোহা বলেন, ‘শনিবার রাতে কাউনিয়া থেকে শাটল ট্রেন কুড়িগ্রাম স্টেশনে পৌঁছে আবারও রাত সোয়া ৮টার দিকে কাউনিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।’

পরীক্ষামূলক চালানো হচ্ছে মালবাহী ট্রেন

এর আগে, শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বিকালে স্থানীয় পাঁচকুলির খালের পানির স্রোতের ওপরে থাকা রেল সেতুর পশ্চিম প্রান্তের অ্যাবাটমেন্ট ভেঙে যায়। সেতুর উভয় প্রান্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে ওই দিন রাত থেকে কুড়িগ্রামের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করে রেল কর্তৃপক্ষ। পরে রাত থেকে সেতুটি সংস্কার কাজ শুরু হয়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে লালমনিরহাট ও রাজশাহী থেকে রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছুটে আসেন। শুক্রবার দিবাগত রাত ও শনিবার সারাদিন কাজ করে সেতুটি ট্রেন চলাচলের উপযোগী করেন রেলশ্রমিকরা।

লালমনিরহাট রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন উর রশিদ ব‌লেন, ’সেতুটি সংস্কার কাজ শেষে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ঘোষণা করা হয়েছে। রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষকে এই রেলপথে ট্রেন চালানোর জন্য বলা হয়েছে। শনিবার রাতে শাটল ট্রেন চলাচল করার মাধ্যমে কুড়িগ্রামে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।’

পুরো সময়জুড়ে চলে সেতু সংস্কার কাজ

তিনি আরও বলেন, ‘আপাতত কয়েক দিন রেলের প্রকৌশল ও সেতু বিভাগের দুই জন দায়িত্বশীল সেতুর স্থানে থেকে ট্রেন পারাপার নিয়ন্ত্রণ করবেন। সেতুর কা‌ছে ট্রেন থে‌মে ধী‌রে সে‌তু‌টি অতিক্রম করবে। প‌রে শুক‌নো মৌসু‌মে সেতু‌টি স্থায়ীভা‌বে সংস্কার করা হবে।’

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ডিআরএম আব্দুস সালাম বলেন, ‘আপাতত সেতুটি সংস্কার করে ট্রেন চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। শাটল ও আন্তঃনগর ট্রেনসহ কুড়িগ্রামে নির্ধারিত সকল ট্রেন চলাচল করবে। খালের পানি শুকিয়ে গেলে পরবর্তীতে নতুন করে সেতু নির্মাণ করা হবে।’