একটি সেতুর অভাবে ভোগান্তিতে ২০ হাজার মানুষ

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষতুলি এলাকার মালদহ নদীতে একটি সেতুর অভাবে থমকে আছে তিনটি গ্রাম। একাধিকবার দাফতরিক প্রতিশ্রুতি আর মাপজোখেই সীমাবদ্ধ রয়েছে সেতু নির্মাণ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের মহিষতুলি, ফলিমারি, দুলালী, দুর্গাপুর ইউনিয়নের উত্তর গোবদা, শঠিবাড়ী এবং কালীগঞ্জ উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের লোহাকুচির প্রায় ২০ হাজার মানুষ প্রতিদিন হাতে টানা ডিঙি নৌকা দিয়ে পারাপার হচ্ছেন।

স্থানীয়রা বলেন, সেতু নির্মাণের জন্য বারবার মাপজোখ করা হয়। গেলো কয়েক বছরে এলজিইডির পক্ষ থেকে একাধিকবার মাপজোখ করা হয়েছে। কিন্তু কাজ শুরু করেনি দফতরটি। তারা দাবি করেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে দুই উপজেলার তিন ইউনিয়নে মানুষের যাতায়াত সহজ করতে সেতু নির্মাণ করা হোক। এতে কৃষিপণ্য থেকে চিকিৎসা, সব দিক থেকেই উন্নয়ন ঘটবে।

সঠিবাড়ী এলাকার আব্দুল খালেক বলেন, নদীর দুপাড়ে দুটি বিদ্যালয় ও একটি মাদ্রাসা রয়েছে। শিক্ষার্থীসহ প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষের চলাচল এ পথে।

স্থানীয় জামসের আলী বলেন, সেতু না থাকায় চরম ভোগান্তিতে রয়েছে এলাকাবাসী। কৃষকরা সব থেকে বেশি বেকায়দায়।

মহিষতুলির রমনীকান্ত বলেন, সেতু না থাকায় কষ্ট করে চলাচল করতে হচ্ছে। বেশ কয়েক বছর থেকে সেতু হওয়ার কথা শুনছি। বুড়ো বয়সেও সেতু দেখতে পারলাম না।

দুলালির খোরশেদ আলম বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এলজিইডির পক্ষ থেকে মাটি পরীক্ষা, মাপামাপি করেছে কয়েকবার। কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

লোহাকুচি কারি রহমত বলেন, নদীতে সেতু না থাকাতে যাতায়াতে কষ্ট। বিশেষ করে বর্ষাকালে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। নদী পার হতে না চাইলে ২৫ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হয়।

এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুল ইসলাম বলেন, সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য সুপারিশপত্র দিয়েছেন। কাগজপত্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ আসলেই কাজ শুরু হবে।