যুবলীগ নেতা হত্যা: ৪৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ৬

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের সোনারায় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলামকে (৩৮) কুপিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছামিউল ইসলাম সামুসহ আরও দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার অন্যজন আনোয়ার হোসেন। তিনিও এজাহারভুক্ত আসামি। 

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকালে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে গ্রেফতার ছামিউল ইসলাম হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেয় বলে জানায় পুলিশ। বিকাল পৌনে ৩টার দিকে তাদের গাইবান্ধা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। পরে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। তবে রিমান্ড শুনানি হয়নি। এর আগে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। 

এ ঘটনায় সোমবার (১৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেন জাহিদুল ইসলামের বড় বোন আঞ্জুয়ারা বেগম। মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০ জনকে আসামি করা হয়। এরই মধ্যে এজাহারনামীয় দুই আসামিসহ ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি কে এম আজমিরুজ্জামান বলেন, রাতে নিহতের বড় বোন থানায় উপস্থিত হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়। মামলায় ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ২০ জনসহ ৪৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে এজাহারনামীয় ছামিউল ইসলাম সামু ও আনোয়ার হোসেন নামের দুই আসামিসহ ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার ছামিউল ইসলাম সামু ও আনোয়ার হোসেন বিএনপি ও জামায়াতের সক্রিয় কর্মী। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ হত্যা ও নাশকতাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশের একাধিক দল মাঠে আছে।

ওসি আরও বলেন, রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিহত জাহিদুল ইসলামের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। সোমবার বিকালে লাশ পশ্চিম বৈদ্যনাথ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসে স্বজনরা। এরপর বাদ এশা জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

প্রসঙ্গত, রবিবার (১২ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে মোটরসাইকেলে করে সুন্দরগঞ্জ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন জাহিদুল। পথে শাখা মারা ব্রিজ এলাকায় ৭-৮ জনের একটি দল রশি টেনে মোটরসাইকেল গতিরোধ করে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে জাহিদুলকে কুপিয়ে হাত ও পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়। লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয় তার সঙ্গে থাকা কবির নামে একজনকেও। পরে তাদের উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় জাহিদুলকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে ৩টার দিকে মারা যান তিনি।