মোবাইল কোর্ট সরে গেলেই ১২০ টাকার পেঁয়াজ ২০০

সারা দেশের মতো ঠাকুরগাঁওয়ের পেঁয়াজের বাজার এখন অস্থির। খুচরা বাজারের পাশাপাশি এমন অবস্থা কাঁচামাল আড়তেও। পাইকারি বাজারে আজ বিক্রি হয়েছে ১০৫ টাকা কেজি দরে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে আড়তসহ কোনও খুচরা দোকানে নেই পেঁয়াজ।

তবে দু-একজন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করতে আসলে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। তাও আবার বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। তবে মোবাইল কোর্ট সরে গেলেই সেই পেঁয়াজ ২০০ টাকার ওপরে বিক্রি হয় বলে ক্রেতাদের অভিযোগ।

পেঁয়াজ কিনতে আসা বিভিন্ন ক্রেতারা বলেন, ‘হঠাৎ পেঁয়াজের ওপরে এরকম বোমা পড়লো কেন জানি না। কয়েক দিন থেকে পেঁয়াজের আকাশছোঁয়া দামের কারণে আমরা কিনতে হিমশিম খাচ্ছি আর আজকে গোটা আড়তে কোনও পেঁয়াজ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এখন আমাদের পেঁয়াজ ছাড়া রান্না করা ছাড়া কোনও উপায় নেই।’

বাজারে নেই পেঁয়াজ

আড়তদাররা বলেন, ‘আজকে চাহিদার তুলনায় অনেক কম পেঁয়াজ পেয়েছি আমরা। যেখানে আমাদের দৈনিক ২০ বস্তারও অধিক পেঁয়াজের দরকার সেখানে পেয়েছি ৫-১০ বস্তা। সেগুলো সকালেই বিক্রি হয়ে গেছে তাই আমাদের কাছে আর কোনও পেঁয়াজ নেই।’

আড়ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমেদ বলেন, ‘আজকে প্রশাসনের উপস্থিতিতে সঠিকভাবে আড়তদারদের পেঁয়াজ বণ্টন করা হয়েছে। কেউ যেন কারচুপি করতে না পারে তাই লাইনের মাধ্যমে ১০৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করা হয়েছে।’ তবে আগামীকাল থেকে ঠাকুরগাঁও আড়তে যথেষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ পাওয়া যাবে এবং ৮০ টাকা দরে বিক্রি করা হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে জাতীয় জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ঠাকুরগাঁওয়ের সহকারী পরিচালক শেখ সাদী মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমরা মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে ঠাকুরগাঁও আড়তে ছিলাম। আমাদের উপস্থিতিতেই ১০৫ টাকা দরে আড়তদারদের নিকট লাইন ধরে পেঁয়াজ বিক্রি করা হয়েছে।’ বাজারে পেঁয়াজ না থাকার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কোনও বক্তব্য নেই।’