চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারণা মাইক ভাঙচুরের অভিযোগ

কুড়িগ্রামের উলিপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. আক্কাছ আলী সরকারের নির্বাচনি প্রচারণার মাইক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে মাইক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. আক্কাছ আলী সরকার। তিনি ট্রাক প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উলিপুর-চিলমারী সড়কের ব্র্যাক মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। উলিপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মাহমুদুর রহমান প্রচারণা মাইক ভাঙচুরের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে ঘটনার সঙ্গে ঠিক কে বা কারা জড়িত, তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।

প্রসঙ্গত, তবকপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি বর্তমানে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর হয়ে নির্বাচনি প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

প্রচারণার দায়িত্বে থাকা অটোরিকশা চালকের বরাতে আক্কাছ আলী সরকার বলেন, ‘বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ব্র্যাক মোড়ে আমার নির্বাচনি প্রচারণার কাজে ব্যবহৃত একটি অটোরিকশায় থাকা দুটি মাইক ভাঙচুর করা হয়। তবকপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমানের নেতৃত্বে এই ভাঙচুর করা হয়েছে বলে শুনেছি। বিষয়টি দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে জানালে পুলিশ ও বিজিবিসহ তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করেছেন। প্রশাসনের পদক্ষেপে আমি সন্তুষ্ট।’

স্থানীয়রা জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ, বিজিবিসহ স্থানীয় প্রশাসন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তারা দীর্ঘক্ষণ ঘটনাস্থলে অপেক্ষা করলেও তাদের ডাকে চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান ঘটনাস্থলে আসেননি। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চলে যায়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘প্রার্থীর মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মাইক ভাঙুরের সত্যতা পেয়েছি। অটোরিকশা চালকের বর্ণনা মতে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমানকে ডেকে পাঠালেও তিনি আসেননি। ফলে অভিযুক্তের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বিষয়টি রিটার্নিং অফিসারকে জানানো হয়েছে। তিনি কমিশনকে অবহিত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন।’

ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিএনপি-জামাতের লোকজন নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। তারা এসব করে থাকতে পারে। আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি না। দলের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় ব্যস্ত আছি।’

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ডাকে ঘটনাস্থলে না যাওয়ার প্রশ্নে চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি নির্বাচনি প্রচারণায় ব্যস্ত থাকায় যেতে পারিনি।’