ভুল ট্রেনে ওঠে ধর্ষণের শিকার কিশোরী, অ্যাটেনডেন্ট গ্রেফতার

ঢাকা থেকে লালমনিরহাটের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া একটি ট্রেনে ভুলবশত উঠে পড়া এক কিশোরীকে (১৪) কেবিনে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে লালমনিরহাটগামী ‘লালমনি এক্সপ্রেস’ ট্রেনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই ট্রেনের অ্যাটেনডেন্ট আক্কাস গাজীকে (৩২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে লালমনিরহাট রেলওয়ে থানার সহকারী উপপরিদর্শক মো. রুহুল আমিন বাদী হয়ে আক্কাসের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন। ভুক্তভোগী কিশোরীর বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায়। অভিযুক্ত অ্যাটেনডেন্ট আক্কাস গাজীর বাড়ি বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ এলাকায়। 

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গতকাল রাতে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে লালমনিরহাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসা লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় লালমনিরহাটের তিস্তা রেলস্টেশনে এসে পৌঁছায়। এ সময় ট্রেনে কর্তব্যরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ট্রেনের ‘খ’ বগির ৭ নম্বর কেবিনের ভেতর থেকে একটি কন্যাশিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পান। তখন কেবিনের দরজা বন্ধ ছিল। এ অবস্থায় ডাকাডাকি করলে কেবিনের ভেতরে থাকা অভিযুক্ত অ্যাটেনডেন্ট আক্কাস গাজী দরজা খুলে দেয়। তখন ওই কিশোরীকে কান্না করতে দেখা যায়। মেয়েটিকে উদ্ধারের পর উপস্থিত লোকজন জিজ্ঞাসা করলে সে পুরো ঘটনা খুলে বলে। মেয়েটি জানায়, তার জয়দেবপুর রেলস্টেশন থেকে ময়মনসিংহে যাওয়ার কথা ছিল। ভুলবশত সে ‘লালমনি এক্সপ্রেস’ ট্রেনে উঠে পড়ে। রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে ট্রেনের অ্যাটেনডেন্ট আক্কাস গাজী তার টিকিট চেক করতে আসে। তার কাছে টিকিট না থাকায় আক্কাস গাজী তাকে একটি আসনে বসিয়ে দেয়। এরপর আনুমানিক সকাল সাড়ে ৮টার দিকে অ্যাটেনডেন্ট আসন থেকে তাকে কেবিনে এনে ধর্ষণ করে।

লালমনিরহাট রেলওয়ে থানার ওসি মো. ফেরদৌস আলী বলেন, ‘এ ঘটনায় মামলার পর লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনের কর্মী আক্কাস গাজীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ভুক্তভোগী কিশোরীকে লালমনিরহাটের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাকে নিতে তার ভাই হাসপাতালে এসেছেন।’