দেশের কোথায় শীত বেশি হচ্ছে সেটাও চিন্তা করেন শেখ হাসিনা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘দেশের কোথায় শীত বেশি হচ্ছে সেটাও চিন্তা করেন শেখ হাসিনা। উত্তরবঙ্গের শীতের কথা ভেবে নীলফামারীর মানুষের জন্য কম্বল পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মেহনতি মানুষ, গণমানুষ ও খেটে খাওয়া মানুষের দল। তাই তিনি প্রান্তিক মানুষের কথা ভাবেন।’

রবিবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে নীলফামারী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ভূমিহীন, গৃহহীন যে মানুষগুলো রয়েছে তাদের ১০ লাখ ঘর বানিয়ে দিয়েছেন। এই মানুষগুলো কোনোদিন পাকা ঘরের স্বপ্ন দেখেননি। সেই মানুষগুলোর স্বপ্নপূরণ করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পৃথিবীর কোনও দেশে ঘর বানানোর ইতিহাস নেই। ঝড়-বৃষ্টিতে এখন আর তাদের কারও বাড়ির উঠানে আশ্রয় নিতে হয় না। তিনি তাদের স্বপ্নকে হার মানিয়ে দিয়েছেন। তাদের কথা কেউ ভাবেনি, ভেবেছে একমাত্র শেখ হাসিনা। বেদেরা বছরজুড়ে ত্রিপল টানিয়ে বসবাস করে, নৌকায় যারা বসবাস করে তাদেরও ঘর বানিয়ে দিয়েছেন। টেলিভিশনের পর্দায় তাদের আনন্দ অশ্রু আপনারা দেখেছেন। জামায়াত-বিএনপি পেট্রোলবোমা দিয়ে পুড়ে মানুষ মেরেছে।’

তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারিতে পৃথিবীর ১৩০টি দেশ যখন টিকা দেওয়া শুরু করেনি, ঠিক সেই মুহূর্তে টিকা উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে প্রথম টিকার ডোজ দিয়েছে বাংলাদেশ। তখন বিএনপি কী বললো, এটি ভারতের টিকা এবং গরু কিংবা ছাগলের সুরক্ষায় দেওয়া হয়। পরে গরুরা (তারা) এসে টিকার ডোজ নিলো। আর বললো টিকা দিয়ে বেশ ভালোই হয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের দুই দিন আগে ৫ জানুয়ারি ট্রেনের একটি বগিতে আগুন দিয়ে একটি পরিবারকে পুড়ে অঙ্গার করে দিয়েছে। যারা এভাবে মানুষ পোড়ে, তারা দেশের বন্ধু নয়, তারা মানুষের দুশমন। তাদের ওপর আল্লাহ নারাজ হয়েছে। বিএনপি জনগণের রাজনীতি করে না। তারা পেট্রোলবোমা মারার রাজনীতি করে। এ কারণে ৭ জানুয়ারি জনগণ তাদের ত্যাগ করেছে।’

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে নীলফামারী জেলার ছয় উপজেলায় পাঁচ হাজার শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) সুজিত রায় নন্দি, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, সাহাবুদ্দিন ফরাজী। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুজার রহমান, সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুসফিকুল ইসলাম রিন্টু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুল হাসান শাহ ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ সরকার ও ছয় উপজেলার দলীয় নেতাকর্মীরা।