মুখোশ পরে রাইস মিলে ডাকাতি, সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়লো দৃশ্য

দিনাজপুরের হিলির ইউনাইটেড রাইস মিলে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা মিলের কর্মচারীদের বেঁধে সিন্দুকের তালা ভেঙে চার লাখ টাকা ও মোবাইল নিয়ে যায়। মিলের ভেতরে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে ডাকাতির দৃশ্য দেখা গেছে। 

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে হিলির চুড়িপট্টির ইউনাইটেড রাইস মিলে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে হাকিমপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার শরিফুল ইসলাম এবং হাকিমপুর থানার ওসি দুলাল হোসেন। ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন তারা।

রাইস মিলের নৈশপ্রহরী মিলন হোসেন বলেন, ‘রাতে কুকুরের চিৎকার শুনে আমি আশপাশ দেখছিলাম। এ সময় ১০-১২ জন ব্যক্তি আমার কাছে আসে। নিজেদের লাইনম্যান পরিচয় দেয়। পরে ব্যাগ থেকে ছুরি বের করে গলায় ধরে হাত বেঁধে ফেলে। মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে তারা গদি ঘরের দিকে যায়।’

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মিলের ম্যানেজার সুকুমার চন্দ সাহা বলেন, ‘মিলের গদি ঘরের নিচতলায় ঘুমিয়ে ছিলাম। ওপর তলায় আরও কয়েকজন কর্মচারী ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত ২টার দিকে ১০-১২ জনের ডাকাত দল গদি ঘরের দরজায় নক করে। তখন আমি নৈশপ্রহরীকে ডাকি। কিন্তু সাড়াশব্দ পাচ্ছিলাম না। এর মধ্যে গদি ঘরের দরজা ভেঙে ডাকাতরা ভেতরে ঢোকে। তাদের দেখে চিৎকার দিলে আমাকে মারধর করে গলায় ছুরি ধরে সিন্দুকের চাবি নিয়ে যায়। পরে আমার হাত-পা বেঁধে মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে ফেলে রেখে। এরপর গদি ঘরের সিন্দুক ভেঙে চার লাখ টাকা নিয়ে যায়। পরে আমার মোবাইল ও সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক অকেজো করে দেয়। ডাকাতরা প্যান্ট-শার্ট পরা ছিল। কারও মুখে ছিল মাস্ক, আবার কারও মুখ কাপড় বাঁধা। তাই তাদের চিনতে পারিনি।’

হাকিমপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সেখান থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজসহ কিছু তথ্য-উপাত্ত নিয়েছি আমরা। ফুটেজে ডাকাতির দৃশ্য দেখা গেছে। এসব ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হবে।’