কাউন্সিলরকে মারধরের আসামি গ্রেফতার, একদিন পর নাগরিক সেবা চালু

দিনাজপুরের হিলিতে পৌরসভার কাউন্সিলর ইমরান হোসেনকে মারধরের ঘটনায় মাসুদ (৩৭) নামের একজনকে গ্রেফতার করায় একদিন বন্ধের পর পৌরসভার নাগরিক সেবা চালু করেছেন কাউন্সিলররা। এতে করে জন্মনিবন্ধন, নাগরিকত্বসহ বিভিন্ন দরকারে পৌরসভায় সেবা নিতে আসা ব্যক্তিরা তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা পেয়ে খুশি।

সোমবার (১১ মার্চ) রাতে অভিযান চালিয়ে তার নিজ বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার মাসুদ হিলির দক্ষিণ বাসুদেবপুর এলাকার মৃত বজলুর শেখের ছেলে। এদিকে, আসামি গ্রেফতার করায় কাউন্সিলররা তাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেওয়ায় মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকাল থেকে পৌরসভার সকল নাগরিক সেবা চালু হয়।

পৌরসভায় সেবা নিতে আসা নূর আলম বলেন, ‘সোমবার পৌরসভার কাউন্সিলরদের কর্মবিরতি চলার কারণে তারা কোনও কাজ করেননি। যার কারণে আমার মেয়ের নাগরিকত্ব সনদ নিতে এসে ঘুরে যেতে হয়েছিল। কর্মবিরতি প্রত্যাহার করায় মঙ্গলবার সকালে এসে সনদ হাতে পেলাম।’

মেহেদি হোসেন নামে আরেকজন বলেন, ‘আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা প্রয়োজন। সে কারণে ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন ছিল। পৌরসভায় এসেছিলাম ট্রেড লাইসেন্স নিতে। কিন্তু তাদের কীসের নাকি ধর্মঘট চলছিল। যার কারণে সোমবার পৌরসভার সকল কার্যক্রম বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার ধর্মঘট প্রত্যাহার করায় ট্রেড লাইসেন্সের সেই কপি হাতে পেলাম।’

হাকিমপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মিনহাজুল ইসলাম বলেন, ‘গত শুক্রবার (৮ মার্চ) একটি ঘটনা মীমাংসার জন্য বাদী-বিবাদীকে নিয়ে হিলি বাজারস্থ নিজস্ব কার্যালয়ে বসেন পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইমরান হোসেন। বিচার চলাকালীন সময়ে বিবাদী দল কাউন্সিলরকে মারধর করে ও লাঞ্ছিত করে। এই ঘটনায় সেদিনই ওই কাউন্সিলর থানায় অভিযোগ করেন। কিন্তু এই ঘটনায় কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার পৌরসভার সকল ধরনের নাগরিক সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। রাতেই একজন আসামিকে গ্রেফতার করায় আমরা আমাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিয়েছি। এর ফলে পৌরসভার সকল নাগরিক সেবা কার্যক্রম চালু হয়েছে।’

হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল হোসেন বলেন, ‘পৌরসভার কাউন্সিলর ইমরান হোসেনকে মারধরের ঘটনায় তারা থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছিল। এই ঘটনায় এজাহারনামীয় মাসুদ নামের একজন আসামিকে সোমবার রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে আদালতের মাধ্যমে দিনাজপুর কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

আরও পড়ুন:

কাউন্সিলরকে মারধর, পৌরসভার কার্যক্রম বন্ধ