বৈরাতি হাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র

অধিকাংশ পুলিশ ছুটিতে, আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কা

পবিত্র ঈদুল আজহাকে ঘিরে দেশজুড়ে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সব সদস্যের ছুটি বাতিল করা হলেও মিঠাপুকুর উপজেলায় ঘটেছে ব্যতিক্রম।

দেশের অন্যতম বৃহৎ থানা এলাকা রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বৈরাতি হাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শকসহ অধিকাংশ পুলিশ সদস্য ছুটিতে চলে গেছেন। ফলে পুরো থানা ৩/৪জন পুলিশ সদস্য থানা পাহারা দেওয়া ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ সব কার্যক্রম বন্ধ করে  দিয়েছে। এতে উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষ।

সরেজমিনে শুক্রবার সন্ধ্যায় বৈরাতি হাট তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে গিয়ে দেখা গেছে, থানার নিরাপত্তার জন্য একজন পুলিশ সদস্য অস্ত্রসহ দাঁড়িয়ে আছেন অনগার্ড পজিশনে। কিন্তু ভেতরে একজন পুলিশও নেই। পরিদর্শকসহ অধিকাংশ এসআই, কনস্টেবল ছুটি নিয়ে স্টেশন ত্যাগ করেছেন।

কর্তব্যরত এক কনস্টেবল নাম প্রকাশ না করার শর্তে বললেন, অধিকাংশ কর্মকর্তা ঈদের ছুটিতে বাড়ি গেছেন। শুধুমাত্র দুই জন এসআই ও কয়েকজন কয়েকজন কনস্টেবল কর্মরত আছেন। থানার সবগুলো কক্ষ ঘুরে দেখা গেছে, খালি চেয়ার-টেবিল পড়ে আছে, কেউ নেই। এমনকি থানার হাজতখানার দায়িত্বেও কোন পুলিশ সদস্য নেই।

এ বিষয়ে বৈরাতি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আশপাশে বসবাসকারী দুই ব্যক্তি নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, এভাবে থানা ফাঁকা রেখে বেশিরভাগ কর্মকর্তা ও সদস্য ঈদের ছুটিতে যাওয়া ঠিক হয়নি।

অন্যদিকে মিঠাপুকুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোতাহারুল ইসলাম নিক্সন পাইকার শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ঈদ উদযাপন করতে দেশের বিভিন্ন স্তরের কর্মজীবী মানুষ গ্রামে ফিরেছেন। ঈদে এত পুলিশ ছুটিতে থাকলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে।

এ ব্যাপারে দায়িত্বরত এসআই আমিনুল ইসলাম বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ছুটি  দিয়েছেন। আমাদেরও পরিবার-পরিজনকে নিয়ে ঈদ উদযাপন করতে যাওয়ায় কোনও সমস্যা দেখি না। তবে আইনশৃঙ্খলার কোনও অবনতি ঘটবে না।

উল্লেখ্য রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা দেশের অন্যতম বৃহৎ উপজেলা। ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই উপজেলাটি বিশাল এলাকা নিয়ে গঠিত। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বৈরাতি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র স্থাপন করা করা হয়। এটি তদন্ত কেন্দ্র নামকরণ করা হলেও থানার মতো আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে।