হাতীবান্ধায় পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে স্কুলছাত্রকে হত্যা

লালমনিরহাট

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় পারিবারিক কলহের জের ধরে ইব্রাহিম মিয়া (১৫) নামে নবম শ্রেণীর এক কিশোরকে গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যা করেছে তার খালু। হত্যার চেষ্টাকালে আহত ইব্রাহীমের দাদি ধৌলি বেগমকে (৬০) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার গভীর রাতে তাকে হত্যা করা হয়। তবে দুই ভায়রা’র মধ্যে কী নিয়ে কলহ ছিল তা এখনও জানা যায়নি।

নিহত  ইব্রাহিম উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের দৈখাওয়া আমঝোল এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। রবিবার সকাল ১১টার দিকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

হাতীবান্ধা থানা পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান,ওই এলাকার দোলোয়ার হোসেনের বাড়িতে শনিবার বিকালে তার ছোট ভায়রা রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ফতেপুর এলাকার নান্নু মিয়া (৩৮) বেড়াতে আসেন। দীর্ঘদিন ধরে দোলোয়ার ও নান্নু মিয়ার মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। সেই কলহের জের ধরে শনিবার মধ্যরাতে দোলোয়ার হোসেন বাড়িতে না থাকার সুযোগে নান্নু মিয়া প্রথমে দোলোয়ারের বড় ছেলে ৯ম শ্রেণির ছাত্র ইব্রাহিমকে গলায় রশি পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে অন্য ঘরে ঘুমিয়ে থাকা দোলোয়ারের মা ধৌলি বেগম ও তার ছোট ছেলে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র আবু বক্করকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। এসময় আবু বক্কর তার খালু নান্নুকে চিনে ফেলে এবং চিৎকার শুরু করলে  নান্নু মিয়া পালিয়ে যায়।

স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে হাতীবান্ধা হাসপাতালে ও পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দেলোয়ারের মা ধৌলি বেগমকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

হাতীবান্ধা থানার ওসি আব্দুল মতিন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে নান্নুসহ আরও অনেকে জড়িত থাকতে পারে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

/জেবি/