বগুড়ার শেরপুরে জেএমবির আস্তানায় গ্রেনেড বিস্ফোরণে নিহত জঙ্গি সদস্য তরিকুল ইসলামের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) রাতে নিহতের তিন ভাই ও এক বোন লাশ গ্রহণ করেন। রাতেই লাশটি সিরাজগঞ্জ সদরের জামুয়া গ্রামে দাফন করা হয়।
তবে অপর জঙ্গির পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। আর বিস্ফোরক, অস্ত্র ও সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের করা তিনটি মামলারও কোনও অগ্রগতি নেই।
এ ঘটনায় শেরপুর থানার এসআই বুলবুল ইসলাম অস্ত্র, বিস্ফোরক ও সন্ত্রাস বিরোধী আইনে নিহত দুই জঙ্গি, কথিত ভাড়াটিয়া মিজানের নামে মামলা করেন।
উদ্ধার করা পাসপোর্টের সূত্র ধরে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে, নিহত দুই জঙ্গির মধ্যে একজন সিরাজগঞ্জ সদরের জামুয়া গ্রামের মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে তরিকুল ইসলাম। বগুড়া পুলিশ লাশ শনাক্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার তিন ভাই ইসলামী ব্যাংক সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া শাখার অফিসার সানাউল্লাহ, জামুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক লিয়াকত আলী ও বরকত উল্লাহ এবং বোন শাকেরা খাতুনকে বগুড়ায় নিয়ে আসেন। প্রথমে এরা অস্বীকার করলেও পরে তরিকুলের লাশ শনাক্ত করেন।
পুলিশ কর্মকর্তারা মঙ্গলবার দিনভর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কোনও তথ্য বের করতে পারেননি। এরা শুধু জানায়, তরিকুল ইসলাম কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তিনি ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশব্যাপী জেএমবির সিরিজ বোমা হামলার সময় সিরাজগঞ্জ আদালত চত্বরে বোমা হামলার ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিলেন। তিন বছর কারাবাসের পর ২০০৯ সালে বেকসুর খালাস পান। গত কোরবানির ঈদের পর থেকে পরিবারের সঙ্গে তার কোনও যোগাযোগ নেই। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে তারা মর্গ থেকে তরিকুলের লাশ নিয়ে যান।
/এসএনএইচ/টিএন/আপ-এনএস/