বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৮৭ সালে ১০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে বাঁশের তৈরি একটি ঘরে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। এখন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৮৪৫। অবকাঠামো বলতে একটি দুই তলা ভবন, যেখানে শ্রেণিকক্ষ আছে ছয়টি। এ ছাড়া এক কক্ষের দুটি টিনের ঘর আছে। এমপিওভুক্ত শিক্ষক আছে ১৩ জন। আর খণ্ডকালীন শিক্ষক আছে ছয়জন।
সরেজমিনে দেখা যায়, আটটি কক্ষের দুটিতে কোনও বেঞ্চ নেই। মেঝেতে চট বিছিয়ে ক্লাস করে শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ের মাঠে গাছতলায় বসেও চলে পড়াশোনা। শিক্ষক সুমিতা দেব জানান, মাঠে দশম, নবম ও অষ্টম শ্রেণির ক্লাস নেওয়া হয়।
দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী পূর্ণিমা সরকার বলেন, ‘প্রতিদিন আমাদের মাঠে বসে পাঠ নিতে হচ্ছে। আর শ্রেণিকক্ষেও গাদাগাদি করে বসতে হয়।’ একই অভিযোগ অন্যান্য শিক্ষার্থীরও।
প্রধান শিক্ষক অনুপ দত্ত বলেন, ‘শ্রেণিকক্ষ চেয়ে শিক্ষা প্রকৌশলী ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। খোলা জায়গায় পড়ালে শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো মনোযোগ দিতে পারে না।’
শ্রীমঙ্গল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দিলীপ কুমার বর্ধন বলেন, ‘চলতি বছরে ১০ জোড়া বেঞ্চ দেওয়া হয়েছে। স্কুলটি বাগান এলাকায় থাকায় দিনদিন ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে। এখন শুধু বেঞ্চ দিলে সমস্যা সমাধান হবে না। আরেকটি ভবন নির্মাণ করতে হবে।’
আরও পড়ুন:
গুলশানে আতঙ্ক, অবশেষে জানা গেল তারা চোর
/এআরএল/