‘চাপাতি বদরুলের’ বাড়ি ছাতকের মনিরগাতি গ্রামে





বদরুল-আলমসিলেট সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টাকারী বদরুল আলমের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের প্রত্যন্ত মনিরগাতি গ্রামে। সে গ্রামের মৃত সৈয়দুর রহমানের ছেলে।
বদরুল দক্ষিণ খুরমার মনিরগাতি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং গোবিন্দগঞ্জ কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে। পরে সে ভর্তি হয় শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে। বদরুল গ্রামের দরিদ্র কৃষকের সন্তান। চার ভাই এক বোনের মধ্যে দ্বিতীয় সে। চার বছর আগে তার বাবার মৃত্যু হয়। টানাপোড়েন সংসারের হাল ধরে রেখেছেন দর্জি দোকানি বড়ভাই।
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি শেষ না করেই বদরুল ছাতকের গৌবিন্দগঞ্জ আয়াজুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে যোগ দেয়। ছোট দুই ভাই স্কুলে লেখাপড়া করে। একমাত্র বোন গৌবিন্দগঞ্জ কলেজে বিএ ক্লাসের ছাত্রী।
দক্ষিণ খুরমা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মছব্বির জানান, বদরুলকে ভালো জানতেন তিনি।
তিনি বলেন, সে শান্ত স্বভাবের ছিল। আগে রাজনীতি করতো না।
তিনি আরও বলেন, দুই-তিন বছর আগে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সংঘর্ষের এক ঘটনায় গুরুতর আহত হয় সে। এরপর অনেক টাকা খরচ করে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হয়। এ ঘটনার পর বদরুল ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়।
দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের সদস্য সুহেল মিয়া জানান, প্রকাশ্যে কলেজ ছাত্রীকে কুপিয়ে আহত করার মর্মান্তিক ঘটনাটি শোনার পর বদরুলের পরিবারের লোকজন বাকরুদ্ধ ।
তিনি আরও জানান, ছেলেটির এমন আমানুষিক কাজে কোনও যুক্তি দাঁড় করাতে পারছে না পরিবারের লোকজন। বদরুলের বৃদ্ধ মা সন্তানের অপকর্মের খবর শুনে শয্যাশায়ী। কোনও কথা না বলে নীরবে কেঁদে চলছেন।

/এআর/