৪ শিশু হত্যা মামলা: আরও ২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ





হবিগঞ্জে ৪ শিশুর লাশ উদ্ধার করা হচ্ছেহবিগঞ্জের বাহুবলে চাঞ্চল্যকর চার শিশু হত্যা মামলায় আরও দুজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। এ নিয়ে হত্যাকাণ্ডের মামলায় মোট পাঁচজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিলেন।
সোমবার সাক্ষ্য গ্রহণের নির্ধারিত ধার্য তারিখে কারাগারে থাকা আসামি পঞ্চায়েত প্রধান আব্দুল আলী, তার দুই ছেলে রুবেল মিয়া ও জুয়েল মিয়া, তার সেকেন্ড ইন কমান্ড আরজু মিয়া ও শাহেদ মিয়াকে করা নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচার মো. আতাবুল্লাহ আদালতে হাজির করা হয়।
আদালতে বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের কাজল মিয়া ও একই গ্রামের মিজানুর রহমান তালুকদার সাক্ষ্য দেন। দুপুর থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে মঙ্গলবার আবারও সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজন জানান, আদালত আরও দুজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।এ নিয়ে মামলায় মোট পাঁচজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ ফেব্রুয়ারি জেলার বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের মো. ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), তার চাচাত ভাই আব্দুল আজিজের ছেলে তাজেল মিয়া (১০) ও আবদাল মিয়ার ছেলে মনির মিয়া (৭) এবং তাদের প্রতিবেশী আব্দুল কাদিরের ছেলে ইসমাঈল হোসেন (১০) খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়।
নিখোঁজের পাঁচদিন পর ১৭ ফেব্রুয়ারি গ্রামের পাশ্ববর্তী স্থানে ৪ শিশুর মাটিচাপা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পরদিন ১৮ ফেব্রুয়ারি নিহত শিশু মনিরের বাবা আব্দাল মিয়া বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ডিবি পুলিশের তৎকালীন ওসি মোকতাদির আলম তদন্ত করে গত ৫ এপ্রিল ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর মামলাটি নারী শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।
গত ২৮ জুন নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুন্যনালের বিচারক কিরন শংকর হালদারের আদালতে চার্জশিটের উপর শুনানি শেষে আদালত চার্জশিট আমলে নিয়ে পলাতক ৩ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
আদালত ২৬ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। এরপর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শংকর হালদার বদলি হওয়ার কারণে মামলাটির অতিরিক্ত দায়িত্ব নেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আতাবুল্লাহ।
/এআর/