দুই বছর পর জামিনে মুক্তি পেলেন হবিগঞ্জের মেয়র গউছ

জামিনে মুক্তির পর সিলেট সিটি মেয়রের সঙ্গে হবিগঞ্জের মেয়র জিকে গউছ (বামে)দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে দুই বছর পর জামিনে মুক্তিলাভ করেছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও হবিগঞ্জের সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জিকে গউছ। বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। গউছের জামিনে মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রীয় কারাগারে সিনিয়র জেল সুপার মো. ছগির মিয়া।

বুধবার রাতে জিকে গউছ মুঠোফুনে ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জামিনে মুক্তি লাভ করেছি।’

জিকে গউছ জানান, জেল থেকে বের হয়ে সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বাসা যান । পরে সেখান থেকে সিলেটের হযরত শাহজালাল (রহ.) পরে হযরত শাহপরান (রহ.)-র মাজার জিয়ারত শেষে হবিগঞ্জে ফিরে প্রথমে মা-বাবার কবর জিয়ারত করবেন এরপর বাসায় ফিরে যাবেন।

এর আগে জিকে গউছের মুক্তি পেতে যাচ্ছেন এমন সংবাদে বিকেল থেকেই সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে ভিড় করেন গণমাধ্যমকর্মী ও জিকে গউছের সমর্থকরা। হবিগঞ্জ থেকেও বিএনপির অনেক নেতাকর্মী, আত্মীয়স্বজনরা কারাগারের সামনে গিয়ে ভিড় করেন। কারাগার থেকে বের হওয়ার পর তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন তারা।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার হবিগঞ্জ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন জিকে গউছ। এরপর থেকেই তিনি হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার পরে সিলেট কারাগরে বন্দি ছিলেন।

২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা শেষে ফেরার পথে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়াসহ পাঁচ জন। এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুইটি মামলা করা হয়। ২০১৪ সালের ১০ ডিসেম্বর জিকে গউছ, আরিফুল হক চৌধুরী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১১ জনকে অভিযুক্ত করে হবিগঞ্জে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট দেয় সিআইডি পুলিশ।

/এএ/