রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি ড. খায়রুল কবীর রুমেন বলেন, ‘সুরঞ্জিত সেন গুপ্তকে হত্যা প্রচেষ্টা মামলায় সিআইডি প্রতিবেদনে আসামিদের সম্পৃক্ত থাকার প্রতিবেদন এসেছে।
বর্তমানে মামলার এই দুই আসামিই উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত রয়েছেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মল্লিক মঈনুদ্দিন সোহেল বলেন, ‘এই মামলা আজ কগনিজেন্স হেয়রিংয়ের ( অভিযোগ আমলে নেওয়ার শুনানি) জন্য তারিখ ধার্য্য ছিল। আসামিদের বিরুদ্ধে যেন অভিযোগ আমলে না নেওয়া হয়, সেজন্য আমরা শুনানি করেছি। আশা করি আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাটি আমলে নেওয়া হবে না।’
উল্লেখ, ২০০৪ সালে ২১ জুন দুপুরে দিরাই বাজারে একটি সমাবেশে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এ সমাবেশে প্রধান অথিতির বক্তব্য রাখছিলেন সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত। এ বোমা হামলায় এক যুবলীগকর্মী নিহত হয় ও ২৯ জন আহত হয়। এ মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। সে সময় এসআই হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে দিরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সম্প্রতি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের সিআইডি সহকারী পুলিশ সুপার বসু দত্ত চাকমা তাদের সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা মামলার আসামি করে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। আবেদনে বসু দেব চাকমা গ্রেনেড হামলার ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ করেন।
আদালতে হাজির হওয়ার আগে বরখাস্তকৃত মেয়র জানান, সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যাধানে মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় আমাকে উদ্দেশ্য মূলক ভাবে আসামি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি দিরাই শাল্লায় কখনও আসিনি। ১২ বছর আগের মামলায় আমাকে ষড়যন্ত্র মূলকভাবে জড়ানো হয়েছে। আশা করি, আদালতে ন্যায় বিচার পবো।
হবিগঞ্জ পৌরসভার বরখাস্তকৃত মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেন, ‘আমি রাজনীতির প্রতিহিংসার স্বীকার। ছাত্রজীবন থেকে আমি বিএনপির রাজনীতে সক্রিয়। পরপর তিন বার হবিগঞ্জবাসী আমাকে মেয়র নির্বাচিত করেছে। আমার জনপ্রিয়তাই আমার জন্য কাল হয়েছে। যারা আমার সঙ্গে জনগনের ভোটের লড়াইয়ে হেরেছে তারাই পরিকল্পিতভাবে আমার ওপর একের পর এক মিথ্যে মামলা দায়ের করেছে।
/এমডিপি/