শোকে স্তব্ধ বিছানাকান্দিতে নিহত ৩ শ্রমিকের স্বজনরা

Sunamgonj Pic 01 (5)সিলেটের বিছনাকান্দিতে বাছিত মিয়ার পাথর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলনের সময় মাটিচাপায় তিন শ্রমিকের নিহত হওয়ার ঘটনায় শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছেন তাদের স্বজনরা। তারা এই মর্মান্তিক ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
এদিকে মৃত ৩ শ্রমিকের মধ্যে দুজনের লাশ সুনামগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে সুনামগঞ্জ পুলিশ। উদ্ধার করা দুই লাশের পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ।
তারা হলেন- সুনামগঞ্জ সদরের কাঠইর ইউনিয়নের গুলেরগাঁও গ্রামের জাকির হোসেন (১৮) ও তোলা মিয়া (২৫)। তবে অপর শ্রমিকের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
কোয়ারির মালিক আজ ভোরে অ্যাম্বুলেন্সে করে গোপনে তাদের লাশ বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরে সদর থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে।
নিহতের স্বজন আব্দুস শহীদ বলেন, কোয়ারিতে মাটিচাপা পড়ে কোনও শ্রমিক মারা গেলে কোয়ারির মালিক টাকা পয়সা দিয়ে ম্যানেজ করে গোপনে লাশ দাফন করে ফেলে। অনেক সময় লাশের কোনও হদিস পাওয়া যায় না।
নিহত তুলা মিয়ার মা মাইমুনা খাতুন জানান, তার তিন ছেলের মধ্যে সে ছিল দ্বিতীয়। তার মৃত্যুতে পরিবারের উপর্জনক্ষম আর কোনও পুরুষ নেই।
নিহত জাকিরের পিতা নজির মিয়া জানান, জাকির এক সপ্তাহ আগে পাথর কোয়ারিতে কাজে গিয়েছে। আজ লাশ হয়ে বাড়ি ফিরলো। পাথর কোয়ারিতে নিরাপদ কাজের পরিবশে তৈরি করতে না পারলে আরও কতো মায়ের কোল খালি হবে তা কেউ জানে না।
কাঠইর ইউপির সাবেক ইউপি সদস্য আজিজুর রহমান জানান, সিলেটের পাথর কোয়ারিতে অনিরাপদ পরিবেশে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাজার হাজার গরীব শ্রমিক কাজ করেন। তাদের জীবনের কোনও নিরাপত্তা নেই।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান জানান, সুনামগঞ্জের ভাটি এলাকার হাজার হাজার শ্রমিক জীবনের মায়া ত্যাগ করে সেখানে কাজ করে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের এসআই পবিত্র কুমার সিনহা জানান, লাশগুলো গোপনে দাফন করার চেষ্টা করছিল তার স্বজনরা। পরে পুলিশ গিয়ে লাশের উদ্ধার করে।
/এআর/