জেলা শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজন জানান, আদালতে আটক আব্দুল আলী বাগাল, তার ছেলে রুবেল মিয়া ও জুয়েল মিয়া, আরজু মিয়া ও সাহেদ আলী ওরফে সায়েদকে হাজির করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিকাল সাড়ে ৫টায় আদালত মূললতবি ঘোষণা করা হয়।
এ মামলায় আট আসামির মধ্যে কারাগারে রয়েছেন পাঁচজন ও পলাতক রয়েছেন তিনজন। পলাতকরা হলেন-উস্তার মিয়া, বেলাল মিয়া ও বাবুল মিয়া।
উল্লেখ্য, গত ২০১৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি জেলার বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের মো. ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), তার চাচাত ভাই আব্দুল আজিজের ছেলে তাজেল মিয়া (১০) ও আবদাল মিয়ার ছেলে মনির মিয়া (৭) এবং তাদের প্রতিবেশী আব্দুল কাদিরের ছেলে ইসমাঈল হোসেন (১০) খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়।
নিখোঁজের পাঁচদিন পর ১৭ ফেব্রুয়ারি গ্রামের পাশ্ববর্তী স্থানে ৪ শিশুর মাটিচাপা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ ঘটনার পরপরই প্রধান অভিযুক্ত আব্দুল আলীসহ সাতজনকে আটক করে এবং ঘটনার অন্যতম আসামি বাচ্চু মিয়া র্যা বের সঙ্গে ক্রস ফায়ারে নিহত হন। ইতোমধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আব্দুল আলীর দুই ছেলেসহ চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
/এআর/